ঈদ-উল ফিতরের ছুটিতে গত মঙ্গলবার থেকে তিন দিনে ঢাকা ছেড়েছে ৫৩ লাখ ৫৪ হাজার ৮৩২টি সিম । আর প্রবেশ করেছেন ১৯ লাখ পাঁচ হাজার ৯০২ জন। এর মধ্যে এবার সবচেয়ে বেশি ২০ লাখ ৬৯ হাজার ৮৫৭টি বাংলালিংকের সিম গেছে ঢাকার বাইরে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৮ লাখ ৭৪ হাজার ৭২১টি সিম গেছে রাজধানীর বাইরে। দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের সিম সংখ্যা ছিল ১৭ লাখ ৩০ হাজার ১১৭টি। আর রাষ্ট্রীয় মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটকের সিম সংখ্যা ছিল ৮১ হাজার ১৩৭টি।
ঢাকা ছাড়ার মত ঢাকায় প্রবেশেও অন্য তিন মোবাইল অপারেটরকে ছাড়িয়ে বাংলালিংক। তিন দিনে এই অপারেটরের ১২ লাখ ৩৯ হাজার ৮২৩ টি সিম ঢুকেছে রাজধানীতে। গ্রামীণ ফোনের ৩ লাখ ৮৯ হাজার ২৮৩টি, রবির ২ লাখ ৫৬ হাজার ৩২টি এবং টেলিটকের ৩০ হাজার ৭৬৪টি সিম ঢাকায় এসেছে এই তিন দিনে।
শুক্রবার নিজের ফেসবুক পোস্টে তথ্য দিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মেস্তাফ জব্বার গত ৮ থেকে ২০ এপ্রিল সময়ে ঢাকায় আগমন ও বহির্গমণের যে তথ্য প্রকাশ করেছেন, তা থেকে এই তথ্য মিলেছে।
মন্ত্রী যে সিমের হিসাব দিয়েছেন, তাতে দেখা গেছে, মঙ্গলবার সর্বোচ্চ ৬ লাখ ৬৭ হাজার ৭৮৩টি, বুধবার ৬ লাখ ৩২ হাজার ৫২২টি এবং বৃহস্পতিবার ৬ লাখ ৫ হাজার ৫৯৭ টি সিম ঢাকায় ঢুকেছে। বিপরীতের মঙ্গলবার ১২ লাখ ২৮ হাজার ২৭৮, বুধবার ১৬ লাখ ৭২ হাজার ৬৪৫ টি সিম এবং বৃহস্পতিবার ২৪ লাখ ৫৩ হাজার ৯০৯টি সিম ঢাকা ছেড়েছে।
তুলনা করলে গত বছর ঈদুল আজহার আগে দুই দিনে ঢাকার বাইরে যায় ৬৬ লাখ। ২০২১ সালে ঈদুল ফিতরের আগে যায় ৭৩ লাখ সিম।
অবশ্য এই সিমের হিসাব করে মানুষের ঢাকা ছাড়ার প্রকৃত হিসাব পাওয়া সম্ভব নয়। কারণ, এটা কোনোভাবেই বাড়িফেরা মানুষের ‘প্রকৃত সংখ্যা’ নয়।
মোবাইল ফোনবিহীন শিশুরা এই হিসাবের বাইরে রয়ে গেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাবে, দেশে ১৪ বছরের কম বয়সীর সংখ্যা মোট নাগরিকের ২৭ দশমিক ৭ শতাংশ।
আবার অনেকেই একাধিক সিম ব্যবহার করেন। ফলে ঠিক কত জন ঢাকা ছেড়েছেন এই হিসাবটা পাওয়া যায় না। তবে আগের বছরগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে পার্থক্যটা স্পষ্ট বোঝা যায়।
মহামারীর মধ্যে ২০২১ সালের ঈদুল আযহার আগের কয়েক দিনে ১ কোটি ৪ লাখ ৯৪ হাজার ৬৮৩ সিমের ঢাকা ছাড়ার তথ্য জানিয়েছিলেন টোলিযোগাযোগ মন্ত্রী। ওই বছর ঈদুল ফিতরের আগে চার দিনে ৭৩ লাখেরও বেশি সিম ঢাকার বাইরে গিয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন মন্ত্রী।
ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউয়ের হিসাবে, ঢাকার জনসংখ্যা এখন সোয়া দুই কোটির মত। এর মধ্যে কোটির বেশি মানুষ ঈদে অন্য কোনো জেলায় যান বলে ধারণা করা হত। তবে প্রকৃত সংখ্যাটি কখনও জানা যায় না।