বিদ্যমান তদারকি বা পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থাই গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করছে উল্লেখ করে বিশেষ করে টেলিভিশন ‘নিয়ন্ত্রণ’ পদ্ধতি পরিবর্তনের দাবি করেছেন লন্ডনপ্রবাসী সাংবাদিক কামাল আহমেদ ।
শনিবার বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ‘ভরসা ফিরুক গণমাধ্যমে। কোন সংস্কারে স্বাধীন হবে মিডিয়া’ শীর্ষক আলোচনায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে তিনি বলেছেন, টেলিভিশনগুলোর ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ মূলত বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) হাতে। সেটির পুরোটাই সরকারের নিয়ন্ত্রণে। সরকার যেভাবে চায়, সেভাবেই বিটিআরসি কাজ করে এবং টেলিভিশনগুলো নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এই পদ্ধতিতে গণমাধ্যম চললে সেই গণমাধ্যম কোনোভাবেই সাধারণ মানুষের আশা–আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে পারবে না। তাই এটির পরিবর্তন দরকার।
তিনি প্রশ্ন রাখেন, আমরা আজ যাদের গণমাধ্যম বলছি তা আসলেই গণমাধ্যম কি না। তারা মাস্ট হেডের নিচে যেসব স্লোগান লেখা হয় তা মানা হয় কি?
আপোস আর স্বনিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে গণমাধ্যমগুলি পরিচালিত হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দায়বদ্ধতা বা জবাবদিহি মূলত পাঠকদের কাছে, দর্শকদের কাছে, শ্রোতাদের কাছে। কিন্তু সেটি কার্যকর করার জন্য তদারকি দরকার। এটা সরকারের ওপর ছেড়ে দেওয়া যাবে না।
সাঈদ কবীরের সঞ্চালনায় ‘কোন সংস্কারে স্বাধীন হবে মিডিয়া’ শীর্ষক আলোচনায় বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন ও সাংবাদিক আশরাফ কায়সার। বক্তব্যে দু’জনেই বাংলাদেশের গণমাধ্যমের জবাবদিহীতা ও স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। একইসঙ্গে স্বাধীনতা ও ক্ষমতায়নে সংস্কারের দাবি করেছেন। এই দাবির সঙ্গে সহমত করে অভিমত ব্যক্ত করেছেন সাংবাদিকতার শিক্ষক, সাংবাদিক ও গণমাধ্যমসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান–পরবর্তী সংস্কার ভাবনা থেকে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ভয়েস ফর রিফর্ম নামের একটি নাগরি প্ল্যাটফর্ম।