নিলামে নতুন করে তরঙ্গ কেনার পরের সমীকরণেও অন্যান্য বেসরকারি অপারেটর থেকে গ্রাহক (মেগাহার্টজ প্রতি) সেবায় এগিয়ে থাকবে বাংলালিংক। কেননা, বর্তমানে প্রতি মেগাহার্জ তরঙ্গে গ্রামীণফোন ১৪ লাখ, রবি ১১ লাখ এবং বাংলালিংক প্রায় ৯ লাখ গ্রাহককে সেবা দেয়। নতুন স্পেকট্রাম যুক্ত হওয়ার পরে গ্রামীণফোন ৭ লাখ ৭০ হাজার, রবি ৫ লাখ ২০ হাজার, বাংলালিংক ৪ লাখ ৭০ হাজার এবং টেলিটক ১ লাখ ২০ হাজার গ্রাহককে সেবা দিতে পারবে।
বৃহস্পতিবার নিলামে তরঙ্গ কেনার পর সব অপারেটরের মোট তরঙ্গের পরিমাণ হবে গ্রামীণফোনের ১০৭.৪০, রবির ১০৪, বাংলালিংকের ৮০ এবং টেলিটকের ৫৫.২০ মেগাহার্টজ।
ফলে দ্বিগুণের বেশি তরঙ্গ নিয়ে অপারেটরগুলোর কোয়ালিটি অব সার্ভিস ভালো হবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশাবাদী।
এই স্পেকট্রাম বাংলালিংকের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ, দ্রুততর ইন্টারনেট এবং উন্নতমানের ডিজিটাল সেবা প্রদানে সহায়ক হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী এরিক অস। তিনি বলেছেন, আরও বেশি পরিমাণ তরঙ্গ ব্যবহারের ফলে দেশের মানুষ এখন দ্রুততর ইন্টারনেট ও উন্নত ডিজিটাল সেবা পাবে। সব গ্রাহকের জন্য ফোর-জি, নির্দিষ্ট সংখ্যক গ্রাহকের জন্য ফাইভ-জি নয়—বাংলালিংকের এই লক্ষ্য অনুযায়ী, আমরা আগামী ২ থেকে ৩ বছর নতুন তরঙ্গ প্রাথমিকভাবে ফোর-জি’র জন্য ব্যবহার করবো।
রবির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম বলেন, একটি অত্যন্ত সফল বেতার তরঙ্গ নিলাম কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য আমরা মাননীয় টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসিকে ধন্যবাদ জানাই। সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে পরিচালিত এই নিলাম থেকে আমরা ২৬০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডে ৬০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ নিতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। আমরা বিশ্বাস করি, এই তরঙ্গ আমাদের নেটওয়ার্কে সেবার মানকে উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করবে এবং আমাদের গ্রাহকদের আরও ভাল ডিজিটাল অভিজ্ঞতা পেতে সাহায্য করবে।
এই নিলাম সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়ক হবে মন্তব্য করে গ্রামীণফোনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গ্রামীণ সিইও ইয়াসির আজমান বলেছেন, আবারও ৬০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ কেনার মাধ্যমে দেশের মানুষের ডিজিটাল সম্ভাবনা উম্মোচনে আমাদের অঙ্গীকারকেই পুর্নব্যক্ত করছে। গ্রাহকদের অভিজ্ঞতার আরও উন্নয়ন এবং সেবার মান উন্নয়ন সব সময়ই আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার। ভবিষৎতে নেটওয়ার্কে আমাদের তরঙ্গের ব্যবহার গ্রাহকদের আরও উন্নত ফোরজি সেবা প্রদানে সহায়ক হবে।
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের ডিজিটাল সম্ভাবনা বাস্তবায়নে গ্রাহক চাহিদা পূরনে উন্নত ফোরজি প্রযুক্তি’র প্রাথমিক চালিকা শক্তি হিসাবে থাকবে।ভবিষ্যতের কথা বিবেচনায় রেখে, আমরা সামনের মাসগুলোতে সরকার এবং সম্ভাব্য অন্যান্য ইন্ডাস্ট্রির সাথে পার্টনারশিপের মাধ্যমে ট্রায়াল/টেস্ট করে বাংলাদেশের জন্য ফাইভজি ব্যবহারের সম্ভাব্য ক্ষেত্র চিহ্নিত করব। আমরা বিটিআরসি’র সাথে গুরুত্বপূর্ণ রেগুলেটরি এনাবলার এবং সামগ্রিক ফাইভজি লাইসেন্সিং কাঠামোর বিষয়ে একটি আলোচনার অপেক্ষায় রয়েছি, যা শুধুমাত্র ইন্ডাস্ট্রি কন্সাল্টেশনের পরেই চূড়ান্ত করা হবে বলে আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে।”