গ্রাহক পর্যায়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিতে দেশের ব্যান্ডউইথ সরবরাহকারী ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) কোম্পানি এবং দেশেজুড়ে ইন্টারনেটের সংযোগ সঞ্চালনের দায়িত্বে থাকা ন্যাশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন) সেবামূল্য পূণঃনির্ধারণ বা সংশোধন এবং ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের মান নির্ধারণে বেঞ্চমার্ক বেধে দিতে সাত দিনের সময় দিয়ে একটি আইনিটি নোটিশ দিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন।
সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদের পক্ষে হাইকোর্টের আইনজীবি তানজিলা রহমান জুঁই মঙ্গলবার এই আইনি নোটিশটি পাঠিয়েছেন।
নোটিশে বলা হয়েছে, বিগত সরকার এক দেশ এক রেট এর সর্বনিম্ন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবামূল্য ৫ এমবিপিএস এর জন্য ৫০০ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও মান যাচাইয়ে বিটিআরসি’র কোনো কার্যক্রম না থাকায় গ্রাহকদের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। একইসঙ্গে মানসম্মত ব্রডব্যান্ড হতে হলে সর্বনিম্ন ২০ এমবিপিএস গতিতে উন্নীত করতে আইআইজি ও এনটিটিএন এর সেবা মূল্য বেধে দেয়া আবশ্যক। একইসঙ্গে এই দুই ধরনের অপারেটরদের মান ও মূল্য পূনঃ নির্ধারণ না করা হলে মান আরো কমে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
নোটিশে আরো বলা হয়েছে, ২০২১ সালে আইআইজিদের জন্য সর্বনিম্ন ৩৬৫ টাকা নির্ধারণ করে দেয়া হলেও তারা এখন ১৭০-২০০ টাকার মধ্যে ব্যান্ডউইথ বিক্রি করছে। একইভাবে এনটিটিএন এর মূল্য ২৫ টাকা বেধে দিলেও তারা ৯-১২ টাকায় ডাটা ক্যাপাসিটি বিক্রি করছে।
কিন্তু মুক্তবাজার অর্থনীতিতে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে মূল্য কমলেও বিটিআরসি’র কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী অনৈতিক সুবিধা দিয়ে ব্যবসা করার জন্য মূল্য নির্ধারণ করে দিচ্ছে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
নোটিশটি ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব ডঃ মোঃ মুশফিকুর রহমান, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান এমদাদ উল বারী, মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার মোহাম্মদ খলিল উর রহমান ও আশীষ কুমার কুণ্ড এবং আইআইজিবি প্রেসিডেন্ট আমিনুল হাকিম ও আইএসপিএবি সভাপতি ইমদাদুল হককে পাঠানো হয়েছে।
সাত দিনের মধ্যে জবাব না পেলে নোটিশদাতা আদালতে মামলা করবেন বলেও জানিয়েছেন।