আরো তিন মাসের জন্য স্থগিত হলো গ্রামীণফোন কর্মীদের বিধিবদ্ধ ইউনিয়নের প্রথম দফায় অনুষ্ঠেয় কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন। গ্রামীণফোনের একজন জ্যেষ্ঠ পরিচালক স্বাক্ষরিত জিপিইইউ কার্য নির্বাহী কমিটি নির্বাচন বোর্ড প্রধানকে দেয়া এ সংক্রান্ত চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। অবশ্য এই চিঠির আগেই গত ৬ ডিসেম্বর শ্রম মন্ত্রণালয়ের পরামর্শে ভোট গ্রহণের তিন দিন আগে সমায়িক স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন নির্বাচন বোর্ড প্রধান মুহাম্মাদ নূর ই আলম। স্থগিতাদেশে অপর দুই সদস্য অনামিকা জামান এবং সদস্য সচিব মোঃ রবিউল হাসানের স্বাক্ষর ছিলো।
সেখানে গ্রামীণফোন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের আপত্তিতে নির্বাচন স্থগিতাদেশের বিষয়টি উল্লেখ ছিলো। এবার সেই আপত্তির বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে রিট করে আরো তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হলো। চিঠির তথ্য অনুযায়ী, গত ৩ ডিসেম্বর বিচারপতি ফাহমিদা কাদের এবং মুবিনা আসাফের হাইকোর্ট ডিভিশন এই আদেশ দিয়েছেন।
এ ধরনের পদক্ষেপে সক্ষুব্ধ হয়ে গ্রামীণফোন এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ওমর ফারুক বলেছেন, গতকাল থেকে আমরা মৌন প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আজও করেছি। এখন আইনজীবিদের সঙ্গে কথা বলছি।
প্রসঙ্গত, আজ ৯ ডিসেম্বর সারাদেশে ১০টি ভোট কেন্দ্রে ৩৬ জন প্রার্থীর অংশগ্রহণে সতঃস্ফূর্ত ভোট হওয়ার কথা ছিলো। দ্বি-বার্ষিক এই নির্বাচনে ১৭ পদের জন্য ৩৯ জন প্রার্থী প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছিলেন জোরো-শোরে। কিন্তু হঠাৎই ভোট স্থগিত হওয়ায় পরপর দুই দিন বিকেলে বসুন্ধারার জিপি হাউজের সামনে নির্বাচন স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে প্রতিকী প্রতিবাদ করেছে গ্রামীণফোন এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (জিপিইইউ ) কর্মীরা। গ্রামীণফোন এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ওমর ফারুকের নেতৃত্বে মুখে কালো কাপড় বেধে ও হাতে প্রতিবাদী ফেস্টুন নিয়ে তিন ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ করে গ্রামীণফোনের অর্ধশত চাকরি চ্যুত কর্মী।