একযোগে ৩৩৪ আইএসপি, কলসেন্টার ও আইপি টেলিফোনি কোম্পানির লাইসেন্স বাতিল করেছে বিটিআরসি। এর মধ্যে আইপি টেলিফোনির ব্যবসায় এখনো আঁতুর ঘরে রয়েছে বলেই জানা গেছে। একইসঙ্গে মঙ্গলবার লাইসেন্স বাতিলের নোটিশ জারির খবরে বিস্মিত হয়েছেন অনেক ব্যবসায়ীই। তারা বলছেন, ঢালাও ভাবে লাইসেন্স ক্যানসেল করা হয়েছে। তাদের প্রশ্ন, ওয়ারনিং লেটার ছাড়া ঢালাও ভাবে লাসেন্স বাতিল করা কতটা যৌক্তিক সে প্রশ্ন থেকেই যাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যবসায়ী বলেছেন, এতো বড় দীর্ঘ লিস্ট ‘ঠগ বাছতে গাঁ উজাড়’ এর মতো দশা। তাছাড়া লাইসেন্স বাতিল নোটিশটি নতুন বাংলাদেশে ব্যবসায় বান্ধব পরিবেশের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে। বিটিআরসি একবারও চিন্তা করেছে ৩২৮টি কোম্পানির কর্মচারীদের কি হবে?
এ নিয়ে বিটিআরসি’র লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্স বিভাগের পরিচালক এম এ তালেব জানিয়েছেন, এসব কোম্পানি লাইসেন্স বা রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট নবায়নের আবেদন না করায় এবং লাইসেন্সের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় টেলিযোগাযোগ আইন ২০০১ ও সংশ্লিষ্ট গাইডলাইন্স অনুযায়ী কমিশন এই বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তবে সতর্কতা ছাড়াই এক নোটিশে লাইসেন্স বাতিল কতটা বিটিআরসি’র ফ্যাসিলেটর হওয়ার পথকে কুসুমাস্তীর্ণ করবে প্রশ্নের তাৎক্ষনিক কোনো জবাব দিতে রাজি হননি তিনি।
বিটিআরসির লাইসেন্সিং শাখার পরিচালক এম, এ তালেব হোসেন স্বাক্ষরিত মঙ্গলবার জারি করা নোটিশে এসব কোম্পানির সঙ্গে যেকোনো কার্যক্রম পরিচালনা করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কোম্পানিগুলোকে লাইসেন্সের মূল সনদ বিটিআরসিতে জমা দিতে বলা হয়েছে এবং কোনো পাওনা থাকলে তা ৩০ দিনের মধ্যে পরিশোধ করতে বলা হয়েছে।
তবে বকেয়া আদায় ও লাইসেন্স বাতিলের আগে বিটিআরসির অন্ততপক্ষে তিনটা ওয়ার্নিং লেটার দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন প্রযুক্তিবোদ্ধারা। তাদের মতে, সতর্ক না করেই লাইসেন্স বাতিল আইন পরিপন্থী। তাছাড়া এই সকল লাইসেন্স থেকে সরকার যেহেতু রেভিনিউ পায়; অতিরিক্ত টাকাও আদায় করে সেহেতু এটা রাষ্ট্রের জন্যও ক্ষতিকর।