গণঅভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে নতুন করে দিবস আসতে পারে বলেও জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইসিটি, টেলিকত এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
এর আগে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় ৭ মার্চ, ১৫ আগস্টসহ জাতীয় আট দিবস বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়। এর মধ্যে পাঁচটি দিবসই সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবার কেন্দ্রিক। ফলে দিবসগুলি বাতিলের সিদ্ধান্ত কার্যকরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। এখন এ দিবসগুলো বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। এসময় বঙ্গবন্ধুকে আওয়ামী লীগ বিতর্কিত করেছে। তাকে আপনারা ‘জাতির পিতা’ মনে করেন কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দল হিসেবে ফ্যাসিস্টভাবে ক্ষমতায় ছিল। মানুষের ভোটাধিকার হরণ ও গুম-খুন করে এবং গণহত্যা করে তারা ক্ষমতায় ছিল। কাজেই কারা তাকে জাতির পিতা বলল, তারা কোন দিবসকে জাতীয় দিবস ঘোষণা করল, নতুন বাংলাদেশে সেটার ধারাবাহিকতা থাকবে না। আমরা বাংলাদেশকে নতুনভাবে গঠন করতে চাচ্ছি। ফলে ইতিহাসের প্রতি আমাদের নতুন দৃষ্টিভঙ্গি আনতে হবে।
তিনি বলেন, ভোটবিহীন সরকারেই কোনো বৈধতা নেই। সেই সময়ে অনেক কিছু করা হয়েছে। সবগুলোকে পুনর্গঠন ও পুনর্মূল্যায়ন করা হবে।
বর্তমান সরকার বঙ্গবন্ধুকে জাতির জনক মনে করে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই না।’
তাহলে আমাদের কোনো জাতির পিতা থাকবে না? প্রশ্নে তিনি বলেন, আমাদের এই ভূখণ্ডের লড়াইয়ের ইতিহাসে বহু মানুষের অবদান রয়েছে। আমাদের ইতিহাস কিন্তু কেবল ৫২-তেই শুরু হয়নি, আমাদের ব্রিটিশবিরোধী লড়াই আছে, ৪৭ ও ৭১-এর লড়াই আছে, ৯০ ও ২৪ আছে। আমাদের অনেক ফাউন্ডিং ফাদারস রয়েছেন। তাদের লড়াইয়ের ফলে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি।
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, যেসব জাতীয় দিবস বাতিল করা হচ্ছে, সেগুলো চাপিয়ে দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। ফ্যাসিস্ট আচরণ ছিল সেটা। সরকার মনে করেছে, সেগুলো অগুরুত্বপূর্ণ, তাই বাতিল করা হচ্ছে।