বন্যাকবলিত ১০ জেলায় মোট ১১ শতাংশ মোবাইল টাওয়ার অচল হয়ে পড়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ফেনীতেই ৯১ দশমিক ৯ শতাংশ টাওয়ার অচল। আর সবচেয়ে কম ক্ষতি হয়েছে সিলেটে। সিলেটে শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ মোবাইলের টাওয়ার অচল হয়ে পড়েছে বন্যার কারণে।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) বলছে, বিদ্যুৎ না থাকা ও টাওয়ার এলাকা ডুবে যাওয়ার কারণে মোবাইলের টাওয়ারগুলোকে সচল করা যাচ্ছে না।
শুক্রবার দুপুর ৩টা পর্যন্ত বন্যাকবলিত অঞ্চলের মোবাইল নেটওয়ার্ক পরিস্থিতি নিয়ে এসব তথ্য জানিয়েছে বিটিআরসি।
বিটিআরসি জানিয়েছে, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও সিলেট জেলার ১৩ হাজার ২৪০টি টাওয়ারের মধ্যে আজ বেলা ৩টা পর্যন্ত ১ হাজার ৪৬১টি টাওয়ার অচল রয়েছে। সচল রয়েছে ১১ হাজার ৭৭৯টি। এর মধ্যে ফেনী জেলার ৬৫৩টি টাওয়ারের মধ্যে সচল রয়েছে মাত্র ৫৩টি। যা শতাংশের হিসেবে ৯১ দশমিক ৯ শতাংশ।
এরপর নোয়াখালী জেলায় ২১ দশমিক ৫ শতাংশ, খাগড়াছড়িতে ১৫ দশমিক ২ শতাংশ, কুমিল্লায় ১৩ দশমিক ৯ শতাংশ, লক্ষ্মীপুরে ৭ দশমিক ১ শতাংশ, মৌলভীবাজারে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ, চট্টগ্রামে ২ দশমিক ৭ শতাংশ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১ দশমিক ৭ শতাংশ, হবিগঞ্জে শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ এবং সিলেটে শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ টাওয়ার অচল।
বিটিআরসি বলছে, সেনাবাহিনীর সহায়তায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় টাওয়ার সচল করতে সমন্বয়ের কাজ চলছে। তবে যেসব টাওয়ার এলাকা ডুবে গেছে, পানি নেমে না যাওয়া পর্যন্ত সচল করার কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। ফেনী জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত টাওয়ার সচল করা কাজ চ্যালেঞ্জিং ও সময়সাপেক্ষ হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া সিলেট ও মৌলভীবাজার এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় সেখানে যোগাযোগ স্থাপন কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করেছে বিটিআরসি।