কোটা সংস্কারকে কেন্দ্র করে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে জন্ম নেয়া বাংলাদেশ ২.০ আত্মপ্রাকশের প্রাক্কালে দফায় দফায় ইন্টারনেট এবং সোশ্যাল হ্যান্ডেল ও কমিউনিকেশন টুলস ব্লক করার মতো ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়েছেন দেশের সর্বসাধারণ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন টেলিকম ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ব্যবসায়ীরাও।
এমন পরিস্থিতিতে এই খাতে সংশ্লিষ্ট সংগঠন আইএসপিএবি সভাপতির বক্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন খাত সংশ্লিষ্টরা। খাজা টাওয়ারের আগুন আর তার পুড়িয়ে দেয়ার নাটক মঞ্চস্থ করে যেভাবে দেশকে ইন্টারনেট ব্লাকআউট করা হয়েছিলো এর দোসর হিসেবে সংগঠনটির নেতৃত্বে সংস্কার দাবি এখন অগ্নুৎপাতের মতো ফুঁসে উঠেছে। এরই মধ্যে বনানীর স্থায়ী কার্যালয়ে গিয়ে বিক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা।
এমন পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম।
এ বিষয়ে তার বক্তব্য স্পষ্ট। তিনি বলেছেন, তথ্যপ্রযুক্তি রাষ্ট্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। বিগত আন্দোলনে ইন্টারনেট বন্ধ করে একটা ডিজিটাল ক্র্যাকডাউন তৈরি করা হয়েছিল। ইন্টারনেট ব্যবহার করার অধিকার এখন আন্তর্জাতিকভাবেই মানবাধিকারের পর্যায়ে পড়ে। সেই জায়গা থেকে ওই ঘটনাগুলোর তদন্ত প্রয়োজন। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কে যে ধরনের সমালোচনাগুলো আছে, যেগুলো আপনি উল্লেখ করলেন, সে বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে দ্রুত সময়ের মধ্যে পদক্ষেপ নিতে আমি সচেষ্ট থাকব।
এদিকে শুক্রবার উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তথ্য প্রযুক্তি সংক্রান্ত আইনগুলোর মধ্যে থাকা ধারাগুলো বাতিলে অন্তবর্তী কালীন সরকারের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেছেন বন ও পরিবেশ উপদেষ্টা এবং বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেছেন, আইসিটি আইন, ডিজিটাল আইনের পর সাইবার সিকিউরিটি আইনের মামলায় আপনারাও (সাংবাদিক) ভুক্তভোগী। আইসিটি ও ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন না থাকলেও এসব আইনে অনেকে বিচারাধীন ও জেলে আছেন। হয়রানিমূলক মামলার মধ্যে এগুলো অন্তর্ভূক্ত করা হবে। একইসঙ্গে এসব আইনে কতটুকু পরিবর্তন করলে মতপ্রকাশে স্বাধীনতায় বা বিরোধী মত প্রকাশে বাধা থাকবে না, ততটুকু বাতিলের বিবেচনা করা হচ্ছে।