প্রায় তিন ঘণ্টা পর ফের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে ফিরেছে বাংলাদেশ। এর আগে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার পর দ্বিতীয় দফায় ইন্টারনেট ব্লাকআউটের কবলে পড়ে দেশ। এরপর দেড়টার দিকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু হয়। তবে সোশ্যাল মিডিয়া ও কমিউনিকেশন অ্যাপগুলো ব্যবহার করা যায়নি। কিন্তু ইউটিউব ব্যভহার করা গেছে মোবাইল ইন্টারনেট বা ৪জি নেটওয়ার্কও বন্ধ রয়েছে।
বেলা সোয়া একটার দিকে সরকারি একটি সংস্থা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালুর মৌখিক নির্দেশ দেয় বলে জানিয়েছে একটি সূত্র। সূত্রটি বলছে, ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম চালুর বিষয়েও কোনো নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। একইভাবে মোবাইল ইন্টারনেট চালুর বিষয়ে এখনো কোনো নির্দেশ আসেনি। ফলে আবারো বিঘ্নিত হচ্ছিল ব্যাংক লেনদেনসহ ইন্টারনেটনির্ভর সব সেবা।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিতে দেশজুড়ে সংঘাত-সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে গত ১৭ জুলাই প্রথমবার মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, তা চালু হয় ২৮ জুলাই। সাত দিনের মাথায় ফোর–জি নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেওয়া হয় রবিবার। দুপুর ১২টার পর সরকারি একটি সংস্থার নির্দেশে ফোর–জি সেবা বন্ধ করা হয়। শনিবার সংস্থাটি বলেছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ফোর–জি নেটওয়ার্ক বন্ধ থাকবে। ফোর–জি বন্ধ থাকলে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায় না। তখন শুধু টু–জির মাধ্যমে কথা বলা যায়।
অবশ্য কোটা সংস্কার আন্দোলনের এক পর্যায়ে ১৭ জুলাই রাত থেকে মোবাইল ইন্টারনেট এবং ১৮ জুলাই রাতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যায়। পাঁচ দিন পর ২৩ জুলাই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ সীমিত পরিসরে ফেরে। ১০ দিন পর ২৮ জুলাই মোবাইল ইন্টারনেট চালু হয়। কিন্তু বন্ধ ছিল মেটার প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রাম। এ ছাড়া টিকটকও বন্ধ রাখা হয়। অন্যদিকে ব্রডব্যান্ড সংযোগে ইউটিউব চালু থাকলেও মোবাইল ডেটায় তা বন্ধ ছিল। গত ৩১ জুলাই ফেসবুকও চালু করা হয়েছিল।