রাজধানীর মোবাইলে সোশ্যাল মিডিয়া ও কয়েকটি কমিউনিকেশন অ্যাপ ব্যবহার করতে পারছেন না গ্রাহকরা। একইভাবে পল্টন এলাকায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট না পাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তবে এ বিষয়ে মোবাইল অপারেটর কিংবা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদাতা সংগঠনের কাছ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। পরে মোবাইল অপারেটররা জানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষ মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ রেখেছে। পরবর্তী নির্দেশনার জন্য তারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। অপরদিকে ব্রডব্যান্ড অপারেটররা নেটওয়ার্ক বন্ধ করেননি বলে নিশ্চিত করেছেন।
সূত্রমতে, রবিবার দুপুর ১২টার পর সরকারি একটি সংস্থার নির্দেশে ফোর–জি নেটওয়ার্ক ফের বন্ধ করা হয়েছে। শনিবার সংস্থাটি বলেছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ফোর–জি নেটওয়ার্ক বন্ধ থাকবে। ফোর–জি বন্ধ থাকলে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায় না। তখন শুধু টু–জির মাধ্যমে কথা বলা যায়। ঘণ্টাখানেক পর বেলা ১টার দিকে আইআইজি প্রতিষ্ঠানগুলোকে মেটার ক্যাশ সার্ভার বন্ধের জন্য মৌখিকভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট এখনো সচল রয়েছে।
ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়নি বলে দাবি করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেছেন, আমরা কোথাও ইন্টারনেট বন্ধ করিনি। বন্ধের কোনো নির্দেশও দেইনি। কোথাও কোথাও ইন্টারনেটের সমস্যা হচ্ছে। এটা আমাদের নির্দেশনার কারণে নয়।
ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবল ও ইন্টারনেট পরিচালনার অনেক স্থাপনায় সন্ত্রাসীরা হামলা চালাচ্ছে দাবি করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অনেক জায়গায় হামলা চলছে। ফাইবার ক্যাবল কেটে দেওয়া হচ্ছে। আজও আমাদের কয়েক জায়গায় আগুন দেওয়া হয়েছে। অনেক এলাকায় কেটে ফেলা হয়েছে। এমন তাণ্ডব চালালে নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সরবরাহ করাতো সম্ভব নয়।
এক দফা দাবিতে অসহযোগ আন্দোলন এবং তা প্রতিহতের পাল্টা কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দ্বিতীয় দফায় এই ফোরজি নেটওয়ার্ক ব্যবহারে বিটিএস ভিত্তিক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে।
মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ১২ কোটির বেশি এবং ব্রডব্যান্ড গ্রাহক দুই কোটির মতো। মোট জনসংখ্যার ৭.৫৭ শতাংশ ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। দেশে গড়ে ব্রডব্যান্ড ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১২ শতাংশ।
প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলনের এক পর্যায়ে গত ১৭ জুলাই রাত থেকে মোবাইল ইন্টারনেট এবং গত ১৮ জুলাই রাতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যায়। পাঁচ দিন পর ২৩ জুলাই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ সীমিত পরিসরে ফেরে। ১০ দিন পর ২৮ জুলাই মোবাইল ইন্টারনেট চালু হয়। কিন্তু বন্ধ ছিল মেটার প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রাম। এ ছাড়া টিকটকও বন্ধ রাখা হয়। অন্যদিকে ব্রডব্যান্ড সংযোগে ইউটিউব চালু থাকলেও মোবাইল ডেটায় তা বন্ধ ছিল। গত ৩১ জুলাই ফেসবুকও চালু করা হয়েছিল।