মহাকাশ জ্ঞান সম্পর্কে জনসাধারণের জ্ঞানের পরিধি বিস্তৃত এবং শিক্ষার্থীদের মননে মহাকাশ বিজ্ঞানের আকর্ষণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে রাজধানীর বাইরে প্রত্যন্ত অঞ্চলে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর টেলিস্কোপ প্রদর্শনীর উদ্যোগ নিয়েছে।
এ কার্যক্রমের আওতায় গত ১৪ অক্টোবর বান্দবানের লামা উপজেলায় এবং পঞ্চগড়ে গত ১৯ অক্টোবর এবং ২০ অক্টোবর টেলিস্কোপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মহাকাশ পর্যবেক্ষণের সুযোগ করে দেওয়া হয়। এ দুটি কর্মসূচিতে সহস্রাধিক শিক্ষার্থী ও দর্শক অংশগ্রহণ করে।
এতে ব্যাপক সাড়া পড়ে যায় স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে। সাধারণ মানুষের পক্ষে সরাসরি মহাকাশের গ্রহ বা নক্ষত্র পর্যবেক্ষণ করা অসম্ভব। জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের আধুনিক শক্তিশালী টেলিস্কোপ এ কার্যক্রমে ব্যবহার করা হয়। প্রান্তিক পর্যায়ে জনগণের বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের জন্য এটি মহাকাশ ভ্রমণের অনুভূতি এনে দেয়।
এ প্রসঙ্গে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, “টেলিস্কোপ প্রযুক্তির সুবাদে মহাকাশ জ্ঞান চর্চাকে প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছিয়ে বাংলাদেশকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসহ মহাকাশ প্রযুক্তির সক্ষমতায় পৌঁছাতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বই পত্র পড়ে মহাকাশ জ্ঞান চর্চার সুযোগ অত্যন্ত সীমিত, সেক্ষেত্রে পরিচছন্ন আকাশে ১৯৩.৯৩ কোটি মাইল দূরের শনি গ্রহ এবং ৬০ কোটি মাইল দূরের বৃহস্পতি গ্রহ দেখার অভূতপূর্ব সুযোগ পেয়ে মানুষ মহান স্রষ্টা আল্লাহ্-তায়ালার সৃষ্ট নভোমণ্ডলের নিখুত ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে জানছে, যা’ স্রষ্টার প্রতি গভীর বিশ্বাস এবং সৃষ্টি জগতের অপার রহস্য সম্পর্কে মানুষকে সুষ্ঠু ধারণা দেবে। এ কার্যক্রম সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। শুধু জ্ঞানার্জনের জন্য নয়, তরুণ প্রজন্মকে মাদকাসক্তি, মোবাইল আসক্তিসহ নানা সামাজিক অপরাধ থেকে মুক্ত করে জ্ঞানচর্চার দিকে অভিমুখী করাও এ কার্যক্রমের অন্যতম মহৎ লক্ষ্য।”