খোঁজ মিলছে না সদ্য সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমানের। তবে তিনি সাম্প্রতিক সময়ে দেশ ছেড়েছেন এমন প্রমাণও মেলেনি বিমান বন্দরের নথিতে। তাকে ফোন দিলে প্রতিবারই ‘এই মুহূর্তে সংযোগ দেয়া সম্ভব নয়’ বলে ফিরতি বার্তা আসছে।
একটি সূত্রমতে, তিনি তার এক আত্মীয়ের বাসায় আত্মগোপনে আছেন। দেশত্যাগের নিরাপদ পথ খুঁজছেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তিন দিনের মাথায় সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করেছিলো আওয়ামী লীগ। তবে বিনা ভোট ও ডামি ভোটে ক্ষমতা প্রলম্বিত করণ, অপশাসন এবং নতুন প্রজন্মকে ‘রাজাকার’ গালি দেয়ায় ছাত্র-জনতার রোষে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগ পত্র দিয়ে গোপনেই দেশ ত্যাগ করেন হাসিনা। তার পাশাপাশি আরো বেশ কয়েকজন মন্ত্রীও দেশ ছাড়েন একই কায়দায়। তবে দিল্লী যেতে গিয়ে মঙ্গলবার আটক হন প্রাক্তন ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
এরপরই সামনে চলে আসে টেকনোক্র্যাট কোটায় মন্ত্রী হওয়া সোভাগ্যবান ব্যক্তি সদ্য সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমানের নাম। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কবিতা লিখে ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তা পাঠ করে বেশ আলোচনায় ছিলেন কথাসাহিত্যিক শওকত ওসমানের এই পুত্রটি। অনেকেই প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক বিজ্ঞানমন্ত্রী হিসেবে যতটা নয়, তার চেয়ে বেশি সভাকবি হিসেবেই বেশি মূল্যায়ণ করতেন। তবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুত প্রকল্প নিয়েও বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের সাধারণ সম্পাদক ইয়াফেস ওসমান আলোচনা-সমালোচনায় থেকেছেন নানা ফরম্যাটে। কিন্তু সবচেয়ে বেশি সমালোচিত হন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে প্রশ্ন করায় সাংবাদিকদের ওপর চটে গিয়ে। ।