জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে বুধবার শেখ রাসেল দিবস সাড়ম্বরে উদ্যাপিত হয়। এ উপলক্ষ্যে জাদুঘর শিশু-কিশোরসহ সর্বস্তরের দর্শকদের জন্য বিনা টিকেটে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। ফলে জাদুঘর নানা শ্রেণির দর্শকে প্রাণ চঞ্চল হয়ে ওঠে। বিকেল পর্যন্ত জাদুঘরে তরুণ শিক্ষার্থীসহ দর্শকদের সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ৬০০জন।
এ উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম থেকে ফুলকি সহজপাঠ বিদ্যালয়ের ৫২ জন শিক্ষার্থী আজ জাদুঘর পরিদর্শনে আসে। তাদেরকে জাদুঘরের বিভিন্ন গ্যালারি ও প্রদর্শনী বস্তুসমূহ দেখানো হয়। নানা বৈচিত্র্যের সমাহারে পরিপূর্ণ জাদুঘরের বিভিন্ন প্রদর্শনী বস্তু শিক্ষার্থী ও দর্শকরা প্রাণভরে উপভোগ করে।
এছাড়া শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষ্যে ‘বিজ্ঞান শিখবো, বাংলাদেশকে গড়বো’ শীর্ষক এক বিজ্ঞান বক্তৃতারও আয়োজন করা হয়। এতে অংশগ্রহণ করে অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, হাজী আশরাফ আলী উচ্চ বিদ্যালয় ও ফুলকি সহজপাঠ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শেখ রাসেলের জীবনী ও এ দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তৃতা করে শিক্ষার্থী প্রীতম বিশ্বাস, ঊষা মিম আলী ও তাসনুভা আজাদ।
এছাড়া শিক্ষার্থীদের জন্য উন্নতমানের বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়। শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষ্যে বিজ্ঞান জাদুঘর দেশব্যাপী অনলাইনে এক কুইজ প্রতিযোগিতারও আয়োজন করে। উক্ত কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের জন্য শীঘ্রই একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
এ প্রসঙ্গে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, “শেখ রাসেলের স্মৃতিকে স্মরণীয় রাখার লক্ষ্যে এ অনুষ্ঠান। শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে বিজ্ঞানী, গবেষক বা দেশের কাণ্ডারী হতেন। শিক্ষার্থী ও শিশুদের অনুপ্রেরণা প্রদান এ অনুষ্ঠানের লক্ষ্য।”