চাকরি প্রবিধান লঙ্ঘনের দায়ে সিলেট হাইটেক পার্কে সংযুক্ত আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন (১৪টি) প্রকল্প পরিচালক আতিকুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্তে দুইটি বিষয়ের অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় এই শাস্তি দেয়া হয়েছে। শাস্তি অনুযায়ী তাকে নিজ কর্মস্থলে নিয়মিত হাজির দিতে হলেও তিনি শুধু খোরাকী ভাতা পাবেন।
চাকরি প্রবিধানের অসদাচরণ হিসেবে হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম আমিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠির সূত্রে জানাগেছে, বিধি লঙ্ঘন করে উপ-পরিচালক আতিকুল নিজেকে দরপত্র মূল্যায়ণ কমিটির আহ্বায়ক রেখে দরপত্র মূল্যায়ণ কমিটি করেছিলেন। এছাড়াও ২০২৩ সালের ২২ জুন যশোর সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক ডরমেটরিতে প্রকল্পের সহকারী প্রকৌশলী আনিকা নিশার সঙ্গে একই কক্ষে রাত ১১টা ১১মিনিট থেকে ২টা৫৮ মিনিট এবং ৩টা ২মিনিট থেকে ৫টা ১৪ মিনিট পর্যন্ত অবস্থান করেছিলেন।
সূত্রমতে, আনিকা বর্তমানে অফিস করছেন না। তিনি ক্যান্সার চতুর্থ স্টেজে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধেও দুই-তিন কর্মদিবসের মধ্যে অফিস আদেশ হয়ে যাবে। চিঠিটি ২৯ জানুয়ারি সই করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার বাঁসপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের বড় ছেলে আতিকুল ইসলাম। ২০১১ সালে হাইটেক পার্কের নিয়োগ বিধিতে বয়সের সীমা সিথিল করে আতিকুল ইসলামকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এ কাজের জন্য ১০ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তৎকালীন হাই-টেক পার্কের প্রশাসন বিভাগের পরিচালক উপসচিব এন এম সফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এছাড়াও ২০২৩ সালের ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সে সময় ১১ আইটিতে কর্মরত প্রিয়াঙ্কা নামের একজন সহকর্মী আতিকুলের বিরুদ্ধে কয়েকটি অভিযোগ দাখিল করেন। যেখানে বলা হয়, আতিকুলের অস্বাভাবিক পরিমান সম্পদ, বিত্ত বৈভব এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা রয়েছে, হাই-টেক পার্কের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালককে অপবাদ দিয়ে সরিয়ে দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।