তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তির (আইসিটি) প্রয়োগ ও প্রভাবের সূচকে দুই ধাপ পিছয়েছে বাংলাদেশ। ফলে বিশ্বের ১৩৩টি দেশের মধ্যে ৪৩ দশমিক ৫৬ স্কোর নিয়ে নেটওয়ার্ক রেডিনেস ইনডেক্সে (এনআরআই) লাল-সবুজের দেশটির বর্তমান অবস্থান ৮৯তম। অথচ ২০২২ সালে ছিল ৮৮তম। আর সর্বশেষ ২০২৩ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৯১তম।
এশিয়া–প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলের চারটি স্তম্ভের গড় সূচকের সবকটিতেই বাংলাদেশ পিছিয়ে। এ বছর প্রতিবেশী দেশ এই সূচকে ভারত ৪৯তম, শ্রীলঙ্কা ৯৫তম এবং পাকিস্তান ৯৭তম অবস্থানে রয়েছে। এছাড়াও প্রযুক্তিতে এগিয়ে যাওয়া ভিয়েতনাম ৪৫তম, ইন্দোনেশিয়া ৪৮তম এবং ফিলিপাইন ৬৩তম অবস্থানে রয়েছে।
এনআরআই সূচকের চারটি স্তম্ভের মধ্যে বাংলাদেশ প্রযুক্তিতে ৪৩ দশমিক ৭৩, মানবসম্পদে ৩৪ দশমিক শূন্য ৯, শাসনে ৪৫ দশমিক ৮৮ এবং প্রভাবে ৫০ দশমিক ৫৩ স্কোর করেছে। একইভাবে নিম্ন মধ্য আয়ের দেশগুলোর মধ্যে ১১তম অবস্থানে আছে। এই শ্রেণির দেশগুলোর মধ্যে প্রযুক্তি, শাসন ও প্রভাবে গড় সূচকের চেয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে থাকলেও মানবসম্পদে পিছিয়ে আছে।
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তির (আইসিটি) প্রয়োগ ও প্রভাবের সূচকসম্পর্কিত নেটওয়ার্ক নিয়ে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, সাঈদ বিজনেস স্কুল ও যুক্তরাষ্ট্রের পোর্টুলানস ইনস্টিটিউট প্রকাশিত ‘রেডিনেস ইনডেক্স (এনআরআই) ২০২৪’ প্রতিবেদনে এমনটাই প্রকাশ পেয়েছে। ‘বিল্ডিং আ ডিজিটাল টুমরো: পাবলিক–প্রাইভেট ইনভেস্টমেন্টস অ্যান্ড গ্লোবাল কোলাবোরেশন ফর ডিজিটাল রেডিনেস’ প্রতিবেদনে — ইন্টারনেটের গ্রাহক বৃদ্ধি, সাশ্রয়ী মূল্য ও পরিবেশবান্ধব জ্বালানি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে বৈজ্ঞানিক প্রকাশনা, পছন্দের জীবন বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা, আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ, মোবাইল ইন্টারনেট ট্রাফিক এবং ডিজিটাল লেনদেনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য ভালো দিক হিসেবে উপস্থাপন কার হয়েছে।
অপরদিকে এআইভিত্তিক উদ্যোগে বিনিয়োগ, ই–কমার্স আইন, ইন্টারনেট ব্যবহারে লিঙ্গবৈষম্য, প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট, আইসিটি নিয়ন্ত্রক পরিবেশ, ইন্টারনেটে কেনাকাটা, আর্থিক অ্যাকাউন্টে অনলাইন সুবিধা, নিয়ন্ত্রণ কাঠামোর মান ও নারীর অর্থনৈতিক সুবিধা এবং পাবলিক ক্লাউড কম্পিউটিং মার্কেটের আকার, উচ্চশিক্ষায় গবেষণা ও উন্নয়নের ব্যয়ে বাংলাদেশের দুর্বলতা তুলে ধরা হয়েছে।