বুকে ব্যথা নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার একটি হত্যা মামলায় রিমান্ডে থাকা সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। শনিবার (৯ নভেম্বর) দিনগত রাত ১২টায় তাকে ওই ভবনের মেডিসিন বিভাগের ৬০২ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রাত ৯টার দিকে পলককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ। প্রথমে তাকে ঢামেকের নতুন ভবনের হৃদরোগ বিভাগের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসা দেওয়া হয়। এরপর রাত ১২টায় তাকে ওই ভবনের মেডিসিন বিভাগের ৬০২ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি দেওয়া হয়েছে।
এর আগে রাত সোয়া ৯টার দিকে একটি গামছা দিয়ে মুখ ঢেকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ দিয়ে পুলিশ পাহারায় পলককে হেটে নতুন ভবনের দিকে যেতে দেখা যায়। এসময় তার দুই পাশে দু’জন পুলিশ সদস্য তার হাত ধরে রেখেছিলেন। পেছনে আরো দু’জন পুলিশ প্রহারায় ছিলেন।
এ নিয়ে যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাহিদুল ইসলাম জানান, যাত্রাবাড়ী থানার একটি মামলায় সাত দিনের রিমান্ডে ছিলেন জুনাইদ আহমেদ পলক। আজকেই রিমান্ডের প্রথম দিন ছিল। রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগে তিনি চিকিৎসাধীন আছেন।
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশত্যাগের চেষ্টার সময় জুনাইদ আহমেদ পলককে রাজধানীর শাহজালাল বিমানবন্দর আটকে দেওয়ার খবর আসে সংবাদমাধ্যমে। এরপর বিমানবন্দর সংলগ্ন নিকুঞ্জ এলাকায় আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় ১৪ আগস্ট গ্রেফতার হন সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী। এরপর বেশ কয়েকটি হত্যা মামলায় তাকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়। অবশ্য ওই মাসে দেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন ইন্টারনেট ব্লকেড এর কারণে তিনিসহ ইন্টারনেট সেবায় নেতৃত্বদানকারী নেতারা ব্যাপকভাবে সমালোচিত হন। এ নিয়ে নাগরিক ক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটিও হয়েছে। তবে সে বিষয়ে বিচারিক কার্যক্রমের বিষয়টি প্রকাশ্যে না এলেও আগামীতে ইন্টারনেট বন্ধ না হওয়ার বিষয়ে আইন করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে নাগরিক সমাজ।