তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কুটির ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ব্যবসায় প্রসারে প্রতিষ্ঠানগুলোর ‘ইন্টেলেক্চুয়াল প্রোপার্টি রাইট’কে (আইপিআর) অদৃশ্য সম্পদ বিবেচনার প্রস্তাব দিয়েছেন খাত সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, অ্যাকসেস টু ফাইন্যান্স নিশ্চিত করতে এবং ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির জন্য দ্বি-পাক্ষিক চুক্তির ক্ষেত্রে আইপিআর এর ওপর ভিত্তি করে ঋণ সুবিধা উন্মুক্ত করা এবং বিদেশে বাংলাদেশী আইসটি কমিটির মার্কেটিং অফিস স্থাপনের সুযোগ সৃষ্টি এখন সময়ের দাবি। এই দাবি পূরণে নীতিমালা হালনাগাদ করা, স্টার্টআপ চিহ্নিত করতে সুনির্দিষ্ট সঙ্গায়ন এবং পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও ব্যবসায় প্রণোদনার দাবি জানিয়েছেন প্রযুক্তি খাতের ব্যবসায়ীরা।
বুধবাবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈষম্যহীন টেকসই উন্নয়নের অর্থনৈতিক কৌশল পুনঃনির্ধারণ সংক্রান্ত টাস্কফোর্স কমিটির বৈঠকে এসব প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। টাস্কফোর্সের সভাপতি ড. কে এ এস মুর্শিদের সভাপতিত্বে সভায়, পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনৈতিক বিভাগের (জিইডি) সদস্য ড. মো. কাউসার আহাম্মদ, বুয়েটের অধ্যাপক ড. শামসুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক ড. রুমানা হক, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের টাস্কফোর্স সদস্য এবং বিডিজবস প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম মাশরুর, বেসিস পরিচালক মীর শাহরুখ ইসলাম ও স্টার্টআপ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমদে এবং বিভিন্ন ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ফিনটেকের ডেটা কীভাবে কো-লেটার ঋণের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায় সে জন্য ব্যাংকগুলোর নীতিমাল হালনাগাদ করা এবং নতুন ব্যবসায়া শুরুর প্রক্রিয়া সহজীকরণ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন ফাহিম মাশরুর। অপরদিকে মীর শাহরুখ ইসলাম তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে বৈষম্য মুক্ত করার ওপর আলোকপাত করে বিভিন্ন প্রস্তাবনা পেশ করেন।
জানাগেছে, আইসিটি খাতের উন্নয়নে করণীয় নীতি নির্ধারনী বিষয়ে আগামী ১০ নভেম্বর খাত সংশ্লিষ্টদের নিয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।