রাজধানী ঢাকার হাইকোর্ট মোড় থেকে আবদুল্লাহপুর পর্যন্ত সড়কে দুই সিটি করপোরেশনের গুরুত্বপূর্ণ চারটি মোড়ে বসছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) তৈরি হাইব্রিড ট্রাফিক সিগন্যাল।
পাইলট প্রকল্পের অংশ হিসেবে পরীক্ষামূলকভাবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনের মোড় ও বাংলামোটর মোড় এবং উত্তর সিটি করপোরেশনের কারওয়ান বাজার মোড় ও ফার্মগেট মোড়ে বসানো হবে এই ‘সেমি অটোমেটেড সিগন্যাল এইড’। এতে ট্রাফিক পুলিশকে হাত দেখানোর পরিবর্তে সঙ্কেত বাতি ব্যবহৃত হবে। এটি পরচালনায় দায়িত্বরত ট্রাফিক কন্ট্রোলারের কাছে একটা বাটন (বোতাম) থাকবে, যেটাকে ম্যানুয়ালি এবং অটোমেটেড (স্বয়ংক্রিয়) দুই ভাবেই নির্দেশনা দেয়া যাবে। কম যানবাহন থাকলে নির্ধারিত সময়ের জন্য ‘অটোমেটেড মুডে’ চলবে। বেশি থাকলে ‘ম্যানুয়ালি’ সময় পরিবর্তন করে নেওয়া যাবে।
ঢাকার ট্রাফিক সমস্যার সমাধানে গুরুত্ব দিয়ে এই হার্ডওয়্যার ভিত্তিক হাইব্রিড প্রযুক্তিটি উন্নয়ন করেছেন বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোয়াজ্জেম হোসেন ও ড. হাদিউজ্জামান। এর আগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর এই দুই বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আলোচনায় বসে আমদানি না করে বুয়েট থেকেই সিগন্যাল বানানোর প্রস্তাব দেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেই প্রস্তাবে সম্মত হয়ে এই পদ্ধটি উদ্ভাবন করেন এই দুই শিক্ষক। তাদের ব্যয় সাশ্রয়ী উদ্ভাবিত প্রযুক্তিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্রাফিক পুলিশ চাইলে যেকোনো সময় যেকোনো সিগন্যালের সময় নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। সেখানে কিছু সতর্কতার ব্যবস্থা থাকবে। যেমন—কোনো সিগন্যালে বেশি সময় লাগলে সেটি জানা যাবে। পথচারী পারাপারের জন্যও আলাদা সিগন্যাল থাকবে। এটা যেকোনো সময় আপডেট করা যাবে। এ জন্য প্রতিটি ট্রাফিক সিগন্যাল তৈরি ও স্থাপনে সাড়ে ১০ লাখ টাকা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য মাসে দেড় লাখ টাকা খরচ পড়বে।