নবীন-প্রবীনের অন্তর্বতীকালীন সরকারের ১৭ উপদেষ্টাদের ১৪ জনকে শপথ পাঠ কারালেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। বৃহস্পতিবার রাতে বঙ্গভবনের দরবার হলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে প্রথমে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এরপর ১৬ জন উপদেষ্টামণ্ডলীর নাম ঘোষণা করা হয়। এসময় শপথ নেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, মানবাধিকার কর্মী আদিলুর রহমান খান, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল হাসান আরিফ, সাবেক রাষ্ট্রদূত তৌহিদ হোসেন, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান, ব্রতী প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন মুরশিদ, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, হেফাজতের সাবেক নায়েবে আমির আ.ফ.ম খালিদ হাসান, উন্নয়ন বিকল্পের নীতি নির্ধারণী গবেষণা (উবিনীগ) এর নির্বাহী পরিচালক ফরিদা আখতার, গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরজাহান বেগম এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
কার বাইরে থাকায় বীর প্রতীক ফারুকী আযম, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রদূত সুপ্রদিপ চাকমা, চিকিৎসক বিধান রঞ্জন রায় শপথ নেননি।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মন্ত্রীপরিষদ সচিব মোঃ মাহবুবুর রহমান।
এদিকে ডঃ মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হওয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে গ্রাহক অধিকার নিয়ে কাজ করে যাওয়ার সংগঠন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা দেশের সকল টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট গ্রাহকদের পক্ষ থেকে স্বাগত ও শুভেচ্ছা জানাই। আশা করি তত্ত্বাবধায়ক সরকার তাদের দায়িত্ব যথাযথ পালন করবেন এবং অধিকার বঞ্চিত হওয়া গ্রাহকদের অধিকার ফিরিয়ে আনতে সচেষ্ট হবেন। ডাক টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়, আইসিটি মন্ত্রণালয়, বিটিআরসি, বিটিসিএল, ডট সহ রাষ্ট্রীয় সকল সেবামূলক প্রতিষ্ঠানকে নতুন করে ঢেলে সাজাবেন এবং দুর্নীতিমুক্ত করবেন। পাশাপাশি সকল প্রতিষ্ঠানের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবেন। এ সকল প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি, স্বজন প্রীতি, প্রকল্পে লুটপাট, অনিয়ম স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। বেসরকারি ও বিদেশী বিনিয়োগকারী অপারেটরদের জবাবদিহিতার আওতায় এনে গ্রাহকদের অধিকার ফিরিয়ে দেবেন।