প্রায় একযুগ পর ভিস্যাট বা ভেরি স্মল অ্যাপাচার টার্মিনালের লাইসেন্স দেয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংসস্থা (বিটিআরসি)। দেশের ভেতরে ইন্টারনেট নেই এমন স্থানে ইন্টারনেটের সেবা নিশ্চিত করতে এবং বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের ব্যবসার প্রসার বাড়াতে ইতিমধ্যে এ সংক্রান্ত একটি খসড়াও তৈরি করেছে। মোট ৫২ পৃষ্ঠার এই খসড়াটি এই
নীতিমালাটি প্রকাশ করা হয়েছে সংস্থটির অফিসিয়াল ওয়েব পেজে।
নীতিমাল বিষয়ে কারো কোনো পরামর্শ থাকলে তা আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিটিআরসি’র সংশ্লিষ্ট বিভাগে জানানোর নির্দেশনা দিয়েছেন সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিস বিভাগের মহা-পরিচালক ব্রিঃ জেঃ এ বি এম হুমায়ুন কবীর।
খসড়া নীতিমালা থেকে জানা গেছে, ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে আবেদন করতে হবে। দুই লাখ টাকার লাইসেন্স ফি ছাড়াও প্রতি বছর লাইসেন্স নবায়ন করতে দুই লাখ টাকা দিতে হবে। আর এ থেকে আয়ের দুই শতাংশ দিতে হবে বিটিআরসিকে।
অন্যদিকে ছয় বছর মেয়াদি লাইসেন্সের জন্যে সাড়ে ছয় টাকা ফিসহ প্রতি বছর নবায়নের জন্যে দিতে হবে আরও দেড় লাখ টাকা করে।এই লাইসেন্সের জন্যে বিটিআরসি যে নেটওয়ার্ক টপোলজি ঠিক করেছে তাতে হাবগুলো ভিস্যাট অপারেটরদেরকে সংযুক্ত করবেন। তবে তাদের কেউই কোনো ভয়েস কল টার্মিনেট করতে পারবে না।
প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত এই ভিস্যাটই ছিল ইন্টারনেটের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার একমাত্র উপায়। পরে ভিস্যাটের মাধ্যমে বিদেশী অবৈধ কলের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় তার ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে কমিশন। ২০০৭ সালের পর টার্মিনেশনের অভিযোগে দেশে ভিস্যাটের লাইসেন্স দেওয়া বন্ধ করে দেয়া হয়ে। এরপর থেকে বিদেশী দূতাবাস এবং কয়েকটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ছাড়া আর কারও ভিস্যাটের লাইসেন্স নবায়নও করেনি বিটিআরসি।