নির্বাচন ব্যবস্থায় প্রযুক্তি প্রয়োগের স্বকৃতি হিসেবে ইন্টারন্যাশনাল ইলেকটোরাল অ্যাওয়ার্ডস অর্জন করেছেন বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি উদ্যোক্তা প্রয়াত লুনা শামসুদ্দোহা। নির্বাচনব্যবস্থা ও তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রের বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত বিচারকমণ্ডলীর রায়ে তাকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।
রোববার দোহাটেকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে ১৫ নভেম্বর আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর পার্লামেন্টারি স্টাডিজ (আইসিপিএস) এবং পর্তুগিজ জাতীয় নির্বাচন কমিশন মেরিটোরিয়াস অ্যাচিভমেন্ট শ্রেণিতে লুনা শামসুদ্দোহাকে এই মরণোত্তর স্বীকৃতি দেয়। লুনা শামসুদ্দোহার মেয়ে রিম শামসুদ্দোহা লিসবনে আইসিপিএসের এই পুরস্কার গ্রহণ করেন।
এ নিয়ে লুনা শামসুদ্দোহার স্বামী ও দোহাটেক নিউ মিডিয়ার প্রেসিডেন্ট একেএম শামসুদ্দোহা বলেন, মরণোত্তর আন্তর্জাতিক নির্বাচনী পুরষ্কার অর্জণ অত্যন্ত গর্বের। কেননা বৈশ্বিক নির্বাচনী ডোমেনে এটি অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ জায়গা। তিনি এই পুরস্কার প্রাপ্তির জন্য দোহাটেক নিউ মিডিয়ার সকল প্রকৌশলী এবং কর্মকর্তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের কথা স্মরণ করেন।
২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ছবি এবং আঙুলের ছাপসহ ভোটার নিবন্ধনের জন্য সফটওয়্যার তৈরিতে অবদান রেখেছিলেন ২০২১ সালে ৬৩ বছর বয়সে ক্যানসারের কাছে হার মানা লুনা শাসুদ্দোহা। তার প্রতিষ্ঠিত সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান দোহাটেক নিউ মিডিয়া নির্বাচন কমিশনের ওই প্রকল্পে সমাধান অংশীদার হিসেবে কাজ করে। সেই কাজের স্বীকৃতি হিসেবে লুনা শামসুদ্দোহাকে ইন্টারন্যাশনাল ইলেকটোরাল অ্যাওয়ার্ডস দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিশেষ অবদানের কথা স্মরণে রেখে ২০২২ সালের মার্চ থেকে ‘বেসিস লুনা শামসুদ্দোহা অ্যাওয়ার্ড’ আয়োজন করে।
প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক নির্বাচনী পুরস্কার বৈশ্বিক নির্বাচনী ডোমেনে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এবং সংস্থাসমূহের জন্য প্রশংসনীয় সাফল্যের একটি উজ্জ্বল ফ্ল্যাটফরম হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে। আইসিপিএস প্রধান নির্বাহী ম্যাট গোখুলের নেতৃত্বে গঠিত আন্তর্জাতিক নির্বাচনী পুরুস্কার, ২০২৩ বাছাইয়ের কাজ করেছেন পর্তুগিজ জাতীয় নির্বাচন কমিশনের প্রেসিডেন্ট সোরেতো ডি ব্যারোস, ভারতের সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার নাসিম জাহিদী, মার্কিন নির্বাচন সহায়তা কমিশনের সদস্য টমাস হিকস, ইলেক্টোরাল সাইকোলজি অবজারভেটরির ডিরেক্টর মাইকেল ব্রুটার, মেক্সিকোর ফেডারেল জুডিশিয়ারির ইলেক্টোরাল ট্রাইব্যুনালের সাবেক ডিরেক্টর আলবার্তো গুয়েভারা, ইলেক্টোরাল ইন্টিগ্রিটি প্রজেক্টের ডিরেক্টর টবি জেমস, দক্ষিণ আফ্রিকার নির্বাচন কমিশনের চিফ ইলেক্টোরাল অফিসার জন হলিন্স, অন্টারিও’র সাবেক প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তা সাই মামাবোলো, লিথুয়ানিয়ার কেন্দ্রিয় নির্বাচন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান লরা মাতজোসাইটে এবং সেন্টার ফর ইলেক্টোরাল সিস্টেমস ডেভেলপমেন্ট, রিফর্মস অ্যান্ড ট্রেনিং অব জর্জিয়ার ডিরেক্টর নাটিয়া জালিশভিলি।