নিরাপত্তাব্যবস্থা ফাঁকি দিয়ে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইটে ওঠা শিশুর আকাশ ভ্রমণের শখ পূরণ করলো ইলেকট্রনিক্স ও টেক পণ্য উৎপাদক বাংলাদেশের বৈশ্বিক ব্র্যান্ড ওয়ালটন। ব্র্যান্ডটির শো–রুম সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন প্লাজা বৃহস্পতিবার বেলা একটায় শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে উড়োজাহাজে পর্যটন শহর কক্সবাজারে নিয়ে যাওয়া হয় ১২ বছর বয়সী শিশুটিকে। সঙ্গে নেয়া হয় শিশুটির চাচা ইউসুফ মোল্লাকেও। অপরদিকে পৃষ্ঠপোষকদের পক্ষে সাথে আছেন ওয়ালটন প্লাজার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা লিটন হাওলাদার।
তিনি জানিয়েছেন, বিকেলে শিশুটিকে নিয়ে সমুদ্রসৈকতে ঘোরাফেরা করছেন তারা। তাকে আজ রাখা হবে কক্সবাজারের অভিজাত হোটেল ‘ওশান প্যারাডাইস’-এ।
এর আগে শিশুটিকে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার গ্রামের বাড়ি থেকে ঢাকায় আনা হয়। এ সময় ওয়ালটন প্লাজার ব্র্যান্ড ব্যবস্থাপক ওয়াহিদুজ্জামানসহ শিশুটির চাচা সঙ্গে ছিলেন।

ওয়াহিদুজ্জামান জানান, শিশুটির বাবা ওয়ালটনের গ্রাহক। ওয়ালটন প্লাজায় ‘কিস্তি সুরক্ষা পলিসি’ থেকে গ্রাহকদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়। এই পলিসির অধীনেই যেহেতু শিশুটি উড়োজাহাজের চালক (পাইলট) হতে চায়, তাই তারা তাকে উড়োজাহাজে চড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন।
এর আগে ১১ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে বিমানবন্দরের নিরাপত্তাবেষ্টনী পেরিয়ে কুয়েত এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে উঠে পড়েছিল শিশুটি। রাত সোয়া তিনটার দিকে ওই ফ্লাইটের উড্ডয়নের কথা ছিল। শিশুটিকে ফ্লাইটের দরজায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে কেবিন ক্রুরা তাকে তার আসনে বসতে বলেন। তখন শিশুটি জানায়, মা-বাবা তার সঙ্গে নেই। কার সঙ্গে উড়োজাহাজে উঠেছে জানতে চাইলেও সে বলতে পারছিল না। তার সঙ্গে পাসপোর্ট, টিকিট ও বোর্ডিং পাসও ছিল না।
পরে বিমানবন্দর থানা-পুলিশ শিশুটিকে আটক করে। ১৩ সেপ্টেম্বর শিশুটিকে পরিবারের হেফাজতে দেয় পুলিশ। এ ঘটনার পর বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে ১০ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। ঘটনা তদন্তে কমিটিও গঠন করা হয়েছে।