ক্রিপ্টো কয়েন যদি লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়, তবে সেটি কঠোর নীতিমালা দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হওয়া উচিত বলে মনে করছে ‘দ্য ফাইন্যান্সিয়াল বোর্ড (এফএসবি)’। এজন্য অক্টোবরে ‘কঠোর’ আন্তর্জাতিক ক্রিপ্টো নীতিমালার প্রস্তাব আনতে যাচ্ছে জি-২০ দেশগুলোর বাজার পর্যবেক্ষক, ট্রেজারি কর্মকর্তা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিনিধিদের এই সংস্থাটি।
সোমবারের দেয়া এ বিষয়ক ঘোষণায় এফএসবি বলেছে, ক্রিপ্টো বাজারের সাম্প্রতিক উত্থান-পতন এই খাতের অস্থিতিশীলতা, কাঠামোগত দুর্বলতা এবং সার্বিক আর্থিক ব্যবস্থার সঙ্গে ক্রমবর্ধমান সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। অর্থাৎ বাজারের একজন অংশীদারের ব্যর্থতাই ক্রিপ্টো-সম্পদ ইকোসিস্টেমের অন্য অংশগুলোতে দ্রুত ঝুঁকি স্থানান্তর করতে পারে। তাই স্টেবলকয়েন যদি লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়, তবে সেটি কঠোর নীতিমালা দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হওয়া উচিত। এফএসবি জি-২০-এর অর্থমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরদের নিয়ে অক্টোবরে অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলনে স্টেবলকয়েন এবং অন্যান্য ক্রিপ্টো সম্পদের নিয়ন্ত্রণ ও তদারকী কৌশল নিয়ে প্রতিবেদন দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
অবশ্য, এফএসবির হাতে আইন প্রণয়ণের ক্ষমতা না থাকলেও এর সদস্যরা নিজস্ব এখতিয়ারভুক্ত বাজারে সংস্থার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নীতিমালা গঠন ও প্রয়োগ করেন। সঙ্গত কারণে এফএসবি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের চেয়ে পিছিয়ে আছে। তাই এ মাসেই ক্রিপ্টো বাজার নিয়ে নতুন নীতিমালা প্রণোয়নে একমত হয়েছে ইইউ-এর সদস্যরা।
প্রসঙ্গত, গতবছরের নভেম্বরে সবচেয়ে প্রভাবশালী ক্রিপ্টো মুদ্রা বিটকয়েনের দাম ৬৯ হাজার ডলার ছুঁলেও পরের মাসগুলোতে এর দাম কমেছে প্রায় ৭০ শতাংশ।বছরের শুরুতে ধসের মুখে পড়েছিল স্টেবলকয়েন টেরাইউএসডি। সেলসিয়াস নেটওয়ার্ক এবং ভয়েজার ডিজিটাল-এর মতো বড় ক্রিপ্টো প্ল্যাটফর্মগুলোর দুর্দিনের প্রভাব পড়েছে পুরো ক্রিপ্টো বাজারে। সোমবারে বিটকয়েনের বাজারমূল্য ছিল ২০ হাজার ৪২২ ডলার।