রাশিয়া-ইউক্রেইন উত্তেজনার শুরু থেকেই সাইবার হামলার আশঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য শুধু সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকতেই বলেনি, ইউক্রেইনের উপর রাশিয়ার হামলার প্রভাব অন্যদের উপরও পড়তে পারে বলে শুরুতেই সতর্ক করে দিয়েছিল উভয় দেশের কর্তৃপক্ষ।
এক্ষেত্রে, উদাহরণ হিসেবে ‘নটপেটইয়া’ ওয়াইপার হামলার কথা বারবার উল্লেখ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। ম্যালওয়্যারটির জন্য দায়ী করা হচ্ছে রাশিয়ার সামরিক হ্যাকারদের।
এমন পরিস্থিতিতে নিজ দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোকে রাশিয়ার সকল “ডিজিটাল দুয়ার বন্ধ করার গতি” বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ড জো বাইডেন।
অন্যদিকে, মস্কো ও যুক্তরাষ্ট্রে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক “ভাঙনের মুখে” রয়েছে বলে মন্তব্য করেছে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আর এই মন্তব্য যে একেবারেই অমূলক নয় তা ফুটে উঠেছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সতর্ক বার্তায়। প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণের পর ‘যুক্তরাষ্ট্র ‘সম্ভাব্য সকল সরঞ্জাম’ ব্যবহার করে রাশিয়ার সাইবার আক্রমণ মোকাবেল করবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
সোমবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, “আমেরিকানরা যে প্রযুক্তি ও গুরুত্বপূর্ণ সেবার উপর নির্ভর করে তার স্থিতীশীলতা এবং সাইবার নিরাপত্তা জোরদার করার শক্তি, সক্ষমতা এবং দায়ভার আপনাদের আছে। সবাই যেন তার ভূমিকাটি পালন করেন, সেটাই প্রয়োজন আমাদের।”