রাশিয়ার সোচিতে অনুষ্ঠত হলো বিশ্বের পরমাণু শিল্পে অন্যতম বৃহৎ আন্তর্জাতিক ইভেন্ট এটমএক্সপোর ১৩তম আসর। দুই দিনে ৪০টি বিষয়ভিত্তিক গোলটেবিল বৈঠক ও আলোচনা হয়েছে। এটমএক্সপো চলাকালে বরাবরের মতো এবারও বেশ কয়েকটি তাৎপর্যপূর্ণ পার্টনারশিপ চুক্তি সম্পাদিত হয়। এর মধ্যে রাশিয়ার রোসাটম নিকারাগুয়া এবং কাজাখস্তানে পারমাণবিক ওষুধ কেন্দ্রের উন্নয়ন সম্পর্কিত চুক্তি স্বাক্ষর করেছে এবং বুরকিনা ফাসোর সাথে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে যাতে সম্ভাব্য পারমাণবিক শক্তি প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
রোসাটম হেলথ টেকনোলজিসের মহাপরিচালক ইগর ওব্রুবভ এবং নিকারাগুয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী অস্কার ভাজকুয়েজের স্বাক্ষরিত রোডম্যাপে, একটি পারমাণবিক ওষুধ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য একটি যৌথ প্রকল্প কভার করা হয়েছে, বিশেষ করে ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসায় বিশেষীকরণ করা হয়েছে এবং স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে সহযোগিতাকেও কভার করা হয়েছে। কর্মী প্রশিক্ষণ।
বিগত বছরগুলোতে এটমএক্সপোর ইতিহাসে ৫০০টির অধিক এ জাতীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, যার বাণিজ্যিক মূল্যমান প্রায় ৬৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বিভিন্ন দেশে থেকে, ৭৫টি সরকারি ব্যবসায়ী সংস্থা ও আন্তর্জাতিক সংগঠন থেকে ৪,৫০০ এর অধিক প্রতিনিধি এবারের আসরে অংশ নেয়। বাংলাদেশের একটি সরকারি ও একটি মিডিয়া প্রতিনিধি দলও যোগ দেয়।
আয়োজনে সার্বিক সহায়তা করে রুশ রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি কর্পোরেশন রসাটম। এটমএক্সপোর এবারের মূল বিষয় ‘চতুর্থ প্রজন্মের পরমাণু রিয়্যাক্টর এবং এক্ষেত্রে রাশিয়ার নেতৃত্ব’।
রোববার (মার্চ ২৫) রাশিয়ার সোচি শহরে অবস্থিত সাইরিয়াস সায়েন্স অ্যান্ড আর্ট পার্কে এটমএক্সপো-২০২৪ এর উদ্বোধন হয়। প্রথম দিন ‘পরিচ্ছন্ন ভবিষ্যৎ কার্যকরীকরণ’ শীর্ষক প্লেনারি সেশনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) উপ-মহাপরিচালক মিখাইল চুদাকভ, হাঙ্গেরির পররাষ্ট্র ও বানিজ্যমন্ত্রী পিটার সিজার্থ, সার্বিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. ড্যানিকা গ্রুজিসিস, বেলারুশের জ্বালানিমন্ত্রী ভিক্টর কারানকেভিচ, তুরস্কের জ্বালানি ও প্রাকৃতিক সম্পদমন্ত্রী ড. আলপার্স লান বাইরাক্তার, বিশ্ব পরমাণু সংস্থা (ডব্লিউএনএ) মহাপরিচালক সামা বিলবাও ওয়াইলিয়ন, রসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ প্রমুখ।
বর্তমান বিশ্বে পরমাণু শিল্পের অবস্থা পর্যালোচনা এবং এর ভবিষ্যৎ ট্রেন্ড নির্ধারণের ক্ষেত্রে এটমএক্সপো ২০০৯ সাল থেকে বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছে। এ শিল্পে এটি অন্যতম বৃহৎ বিজনেস ও এক্সিবিশন প্ল্যাটফর্ম। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় পরমাণু ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো প্রদর্শনীতে তাদের সর্বশেষ প্রযুক্তি এবং নিজস্ব সক্ষমতা উপস্থাপন করে থাকে।