চতুর্থবারের মতো রাজধানীর পূর্বাচলের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) বাণিজ্যমেলা স্থায়ী ভবনে আগামী ১ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে ২৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা ২০২৫। এরই মধ্যে গত জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগ এবং বিজয়ের রঙে মেলা প্রাঙ্গন সাজানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। একইসঙ্গে প্রথম বারের মতো অনলােইনে মেলার টিকিট ছাড়তেও কাজ চলছে।
এবিষয়ে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সচিব ও বাণিজ্যমেলার পরিচালক বিবেক সরকার জানিয়েছেন, মেলার ই-টিকিটিং সেবা নিয়ে ইতোমধ্যে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা হয়েছে। দর্শনার্থীরা যেন মোবাইলে কিউআর কোড দেখিয়ে মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন। দর্শনার্থী যেখান থেকে খুশি অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট ক্রয় করতে পারবেন। এতে প্রবেশে অতিরিক্ত ভিড় এড়ানো যাবে। দর্শনার্থীদের সময় বাঁচবে।
তিনি আরো জানান, অনলাইনের পাশাপাশি লাইনে দাঁড়িয়েও টিকিট কিনতে পারবেন দর্শনার্থীরা। এছাড়া বিআরটিসি বাস কাউন্টার থেকেও টিকিট যাতে করতে পারে সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। গতবছরের মতো এবছরও মেলায় প্রবেশ মূল্য প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ৫০ টাকা, আর অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ২৫ টাকা থাকছে।
জানাগেছে, এবারের মেলা উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মেলায় জুলাই-আগষ্ট শহীদের সম্মান জানাতে শহীদ আবু সাঈদ কর্নার ও মীর মুগ্ধ কর্নার নামে দুইটি কর্নার থাকবে। একইসঙ্গে যুবকদের জন্য একটি যুবক (ইয়ুথ) প্যাভিলিয়ন থাকবে। এছাড়া সিনিয়র সিটিজেনদের বসার জন্য একটি জায়গা রাখা হবে, সেখানে শুধু বয়স্করা বসতে পারবেন। নারী উদ্যোক্তাদের জন্য একটু কম দামে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হবে। যেখানে তুলনামূলক কম দামে তারা পণ্য বিক্রি করতে পারবেন।
মেলায় দেশি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ভারত, পাকিস্তান, ইরান, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, হংকং, সিঙ্গাপুরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নেবে। এসব দেশ ১৩ থেকে ১৪টি স্টলে তাদের পণ্য প্রদর্শন করবে।