বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে এশিয়া প্যাসিফিক আইসিটি অ্যালায়েন্স (এপিকটা)। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত এপিকটা’র মূল পর্বে নিবন্ধন করেও বাংলাদেশ থেকে কোন প্রতিনিধি না পাঠানোয় গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে দুই বছরের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিলো। ব্রুনেই দারুস সালামে চলমান এপিকটা সম্মেলনের শেষ দিন শনিবার সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে এখনই আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা দেয়া হচ্ছে না।
সম্মেলনে যোগ দেয়া বেসিস সাবেক সভাপতি সৈয়দ আলামাস কবিরের বরাতে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, নিষেধাজ্ঞার চিঠি পাওয়ার পর এপিকটার সাবেক প্রধান বিচারক ও বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) সাবেক সভাপতি আবদুল্লাহ এইচ কাফিকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে অনুরোধ করেছিলেন বেসিস’র তৎকালীন সভাপতি রাসেল টি আহমেদ। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এপিকটা কমিটির কাছে লিখিত আবেদন করা হয় বেসিস সচিবালয় থেকে। এর পর এপিকটা কার্যনির্বাহী কমিটের সঙ্গে আলাপ করে এক বছর আগেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে সক্ষম হলেন বেসিস এর প্রাক্তন দুই সভাপতি। তাদের দুতিয়ালীর ফলে এই দুই জনকেই শনিবার অনুষ্ঠিত এক্সসিও কমিটির বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিলো।
বেসিস-কে নিষেধাজ্ঞা দিলেও নিয়ম অনুযায়ী এ বছর এপিকটা প্রতিযোগিতায় ডাক পায় বাংলাদেশের চারটি আইটি কোম্পানি। এগুলো হলো সোশিয়ান এআই, সিনেসিস আইটি লিমিটেড, স্মার্ট ট্রেন্ড ডিজটাল, ইজোরর (আইএসওআরএ) সল্যুশনস লিমিটেড। এদের মধ্যে বন্দর সেরি বেগওয়ানে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের সিনেসিস আইটি পাবলিক সেক্টর অ্যান্ড গভর্নমেন্ট সেকশনে ডিজিটাল গভঃ ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্মার্ট ট্রেন্ড ডিজটাল প্রতিষ্ঠাতা মুন রাজীব।
অনুষ্ঠানে সিনেসিস আইটি’র প্রধান ব্যাবসায় কর্মকর্তা আবু সাঈদ মোহাম্মাদ নূরুরন নবী, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মইনুল ইসলাম এবং সহকারী ব্যাবস্থাপক জুনাইদ হোসাইন সম্মাননা গ্রহণ করেন।
এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বৃহত্তম সংগঠন এশিয়া প্যাসিফিক আইসিটি অ্যালায়েন্স (অ্যাপিকটা)। এ অঞ্চলের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নের পাশাপাশি সম্ভাবনাময় ও সফল উদ্যোগ, সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর সেবার স্বীকৃতি দিতে প্রতিবছর অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডসের আয়োজন করে থাকে। বেসিস অ্যাপিকটার সদস্য।