রাজধানীর গুলশানের ইউকে সেন্টারে ‘ক্যাপচারাল ফিউশন অ্যান্ড ডিজিটাল সলিউশন’ নিয়ে সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। কাকতাড়ুয়ার প্রতিষ্ঠাতা আবদুল্লাহ আল ইমরানের সভাপতিত্বে সেমিনারে শিক্ষার্থীদেরকে সাইবার বুলিং, হয়রানি ও হ্যাকিংসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সমস্যার সমাধানে প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও টুলস সরবরাহ করা।
স্বাগত বক্তব্যে সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কে সচেতনতার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে আবদুল্লাহ আল ইমরান বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়া একটি শক্তিশালী মাধ্যম। তবে এটি নিরাপদে ও দায়িত্বশীলতার সাথে ব্যবহার করার জন্য আমাদের প্রয়োজনীয় জ্ঞান থাকা উচিত।’
সেমিনারে উপস্থিত প্যানেলিস্টরা সোশ্যাল মিডিয়া সমস্যার জটিলতা সম্পর্কে বিভিন্ন দিক থেকে আলোচনা করেন।
বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাকারিয়া রহমান সাইবার অপরাধের বিরুদ্ধে আইনগত সুরক্ষার বিষয়ে আলোচনা করেন। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘অনলাইনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আপনার অধিকার সম্পর্কে সচেতন হওয়াই প্রথম পদক্ষেপ। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সব সময় আপনাদের পাশে আছে।’
এসআর ড্রিম আইটির এক্সিকিউটিভ মেহেনাজ অর্ণি হ্যাকিং ও অন্যান্য অনলাইন হুমকি থেকে নিরাপদ থাকার প্রযুক্তিগত দিকগুলো আলোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘বেসিক নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ আমাদের গোপনীয়তা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই বিষয়গুলোর ব্যাপারে যুব সমাজকে সচেতন করা বর্তমান সময়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ।’
‘ফার্স্ট এইড অফ সোশ্যাল মিডিয়া প্রবলেমস’ সেমিনারটি বাংলাদেশি তরুণদের মধ্যে একটি সুরক্ষিত ডিজিটাল পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য কাকতাড়ুয়া এবং এর সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করার ইচ্ছা ব্যক্ত করে। ইএমকে সেন্টারে ২০০+ উৎসাহী অংশগ্রহণকারীদের মাধ্যমে এই সেমিনারটি দায়িত্বশীল সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা ও সাইবার সচেতনতা সম্পর্কে একটি সফল আলোচনা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে, যা একটি সচেতন ও নিরাপদ ডিজিটাল সমাজ গঠনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
সেমিনারে পার্টনার হিসেবে যুক্ত ছিল কালচারাল ক্লাসিসিস্টস, এসআর ড্রিম আইটি ও প্রোবফ্লাই আইটি। সেমিনারের মূল আলোচ্য বিষয়গুলো ছিল সাইবার ঝুঁকির মুখোমুখি হওয়ার পর প্রাথমিক প্রযুক্তিগত পদক্ষেপ, ডিজিটাল নিরাপত্তা বজায় রাখার উপায় ও সাইবার অপরাধের জন্য আইনি সহায়তা লাভের প্রক্রিয়া।