সংবাদ পত্র বাড়লেও সেই তুলনায় অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা বাড়ছে না। সময়, বিনিয়োগ এবং নিষ্ঠার অভাবে সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অপতথ্য। আর এটা ছড়ায় ডিজিটল মাধ্যমে। তাই প্রযুক্তির জ্ঞান বা ব্যবহার এখন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে হয়েছে। তাই সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রযুক্তির মাধ্যমে ছড়ানো অপতথ্য যাচাই করতে ফ্যাক্ট চেকিং বিষয়ে জানতে হবে। একইসঙ্গে খবর প্রকাশের ক্ষেত্রে ‘বিবেক’ ব্যবহারে গুরুত্বারোপ করা হলো ‘বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে গণমাধ্যম: অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা’ শীর্ষক কর্মশালায়।
বৃহস্পতিবার জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত কর্মশালয় অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার জন্য প্রতিবন্ধকতা সম্পাদক নিজেই বলে মন্তব্য করেন দৈনিক মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী। এছাড়া প্রতিবেদককে যথেষ্ট সময় না দেওয়া আর প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারা অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার জন্য বড় বাধা। তিনি বলেন ‘প্রতিবেদক রিপোর্ট করতে গেলে প্রায় সময় সম্পাদকের কাছে ফোন আসে এবং তিনি অনেকেই ম্যানেজ হয়ে যান।’
ইনস্টিটিউটের সভাকক্ষে আয়োজিত কর্মশালায় মতিউর রহমান চৌধুরী মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এ সময় তার দীর্ঘ সাংবাদিকতার জীবনের নানা চ্যালেঞ্জের কথা উঠে আসে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের সময় সরকার প্রধান ও গোয়েন্দাদের পক্ষ থেকেও নানা হুমকির কথাও তুলে ধরেন তিনি।
গণ-অঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার ক্ষেত্র আরো প্রসারিত হয়েছে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
জাতীয় গণমাধ্যম ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক সুফী জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চ্যানেল আই-এর প্রধান বার্তা সম্পাদক মীর মাশরুর জামান। উপস্থাপনায় তিনি অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার মৌলিক বিষয়গুলো তুলে ধরেন। এসময় একটি প্রতিবেদনে অন্তত ৫-৭টি পক্ষের মত প্রতিফলনে গুরুত্বারোপ করেন। একসঙ্গে কোনো সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য নয়; নিজের অনুসন্ধানের মাধ্যমে সত্য উদঘাটনই অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা উল্লেখ করে অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের তথ্যসূত্রের নতুন নতুন দিকের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠান) ড. মোঃ মারুফ নাওয়াজের সঞ্চালনায় দিনব্যাপী এ কর্মশালায় গণমাধ্যমের প্রায় ৬০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। বক্তব্য রাখেন উপ-পরিচালক মোঃ আব্দুল মান্নান। প্রশিক্ষণার্ধীদের হাতে সনদ তুলে দেয়ার পাশাপাশি তাদের নানা প্রশ্নের জবাবও দেয়া হয় কর্মশালায়।