প্রযুক্তির প্রসারের সঙ্গে জানা-অজানা সূত্র থেকে ছড়িয়ে পড়ে বিপুল তথ্য-উপাত্ত। সেসব তথ্য থেকে অপতথ্য বাছাই করে প্রকৃত তথ্য খুঁজে নেয়ার প্রাযুক্তির কৌশল শিখলেন ঢাকা রিপোর্টার্স উইনিটি’র ৬০ জন সাংবাদিক।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকালে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের সভাকক্ষে অর্ধ দিবন ব্যাপী অনুষ্ঠিত হয় “বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে গণমাধ্যম: মিথ্যা তথ্য, অপতথ্য ও ফ্যাক্ট চেকিং কর্মশালা।
কর্মাশলায় গণমাধ্যমকর্মীদের ইতিবাচক পরিবর্তনের অন্যতম নিয়ামক শক্তি হিসেবে অভিহিত করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি জনমত গঠনে গণ-অভ্যুত্থানের স্পিরিটকে অগ্রাধিকার দিয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, আজকের বাংলাদেশের অভ্যুথ্থানে সাংবাদিকদেরওে অনেক ভূমিকা ছিলো। তাদের দেয়া তথ্যে আমরা ছাত্র আন্দোলনের সময় ঘরে বসে খকর জানতে পেরেছি। তথ্য মন্ত্রণালয় গণমাধ্যমের পাশে থাকবে।
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক সুফী জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কমিটির সদস্য এবং দৈনিক মানবজমিনের প্রধান বার্তা সম্পাদক সাজেদুল হক এবং বার্তা সংস্থা এএফপি-র ফ্যাক্ট চেক এডিটর কদরুদ্দীন শিশির।
কর্মশালায় ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠান) ড. মো. মারুফ নাওয়াজ-এর সঞ্চালনায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ ও তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক রাশিম মোল্লা বক্তব্য রাখেন।
ডিআরইউর সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ তার বক্তৃতায় বলেন, বস্তনিষ্ঠ সাংবাদিকতার জন্য প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। বিশেষ করে ফ্যাক্ট চেক প্রশিক্ষণ সব সাংবাদিকের জন্য গুরুত্বপূর্ন। কেননা একটি ভুল নিউজ রাষ্ট্র ও সমাজকে বড় ধরণেল বিপদে ফেলে দিতে পারে। তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক মো. রাশিম মোল্লা বলেন, রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ সাংবাদিক। কিন্তু রাষ্ট্র সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণে ততটা মনোযোগী নয়, যতটা হওয়া দরকার। জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিইউটের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার জন্য ডিআরইউ তথা দেশের সব সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণের ব্যাবস্থা করা জরুরী ।
আলোচকগণ যে কোন তথ্য যাচাই-বাছাই ছাড়া শেয়ার না করার জন্য জনসচেতনতা সৃষ্টির ওপর জোর দেন এবং গণমাধ্যমকর্মীসহ সকলের অংশগ্রহণে ব্যাপক প্রচারণা চালানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এতে উপস্থিত ছিলেন, ডিআরইউর অর্থ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন, কল্যাণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ ও কার্যনির্বাহী সদস্য রফিক মৃধা।