দেশে দাবি-দাওয়ার মৌসুম চলছে বলে মন্তব্য করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, ‘এখন সারা দেশে একটা দাবি-দাওয়ার মৌসুম চলছে। সবাই দাবি-দাওয়া চায়। সবাই চায় বৈষম্য দূর হবে, সবাই চায় বঞ্চনা থেকে তারা মুক্তি পাবেন। ১৬ বছরের বঞ্চনা…তো সরকারের ১৬ দিন হয়েছে, অনন্ত ১৬ মাস সময় দেন। আমরা আস্তে আস্তে এগুলো সবই বিবেচনা করব।’
তবে সব দাবি পূরণ করলে দেশ মূল্যস্ফীতিতে পড়তে পারে শঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেছেন, একটা জিনিস মনে রাখতে হবে, এসব দাবি-দাওয়ার সঙ্গে আর্থিক সংশ্লিষ্টতা আছে। সরকারের যদি রাজস্ব না বাড়ে কিংবা অন্যান্য আয় যদি না বাড়ে, তাহলে কোথা থেকে দেবে?
রোববার (২৫ আগস্ট) সকালে মেট্রোরেলের সচিবালয় স্টেশনে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে সকালে মেট্রোরেল চালু হওয়ার পর সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আগারগাঁও থেকে মেট্রোরেলে করে সচিবালয় স্টেশনে আসেন।
মেট্রোরেলের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর দাবি নিয়ে সড়ক উপদেষ্টা বলেন, এখন যদি টাকা ছেপে আমরা দিতে পারি, তাহলে তো মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাবে। এতে সাধারণ মানুষের অনেক কষ্ট হবে। সুতরাং এটি অনভিপ্রেত ঘটনা ছিল এবং আমরা চাই ভবিষ্যতে এমনটি ঘটবে না।
রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা কেপিআইয়ের (কি পয়েন্ট ইন্সটেলশন) মাধ্যমে মেট্রোরেলকে জরুরি সেবা ঘোষণা করা হবে বলে জানান মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেন, ‘এটা যাতে ভাঙচুর না হয়, সে জন্য এটাকে কেপিআই হিসেবে একটা আপগ্রেট করার চেষ্টা করছি, যাতে এটার নিরাপত্তা বাড়ে। এবং এটাকে একটি এসেনশিয়াল সার্ভিস হিসেবে ডিক্লার করার উদ্যোগ আমরা নিয়েছি, যাতে করে কেউ এভাবে সার্ভিসটাকে ব্যাহত করতে না পারে।’
যারা ভাঙচুর বা ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছিল, তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন কি না—এমন প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, ‘এখানে যে সমস্যা হয়ে গেছে, যেহেতু এটা গণ-আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিল, এখন প্রাথমিকভাবে সব মামলা তুলে নেওয়া হয়েছে।’
মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান আরও বলেন, ‘আপনারা সবাই জানেন, যারা দেশকে পরিবর্তনের জন্য আন্দোলন করেছে, তাদের পক্ষে এ ধরনের কাজ তো করা সম্ভব না। এটা দুষ্কৃতকারীদের কাজ। আপনাদের কাছে তাদের ভিডিও আছে, ফুটেজ আছে, আমরা এর জন্য যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেব।’