বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষকে স্মার্ট রূাপন্তরে কাজ করতে আগ্রহী মার্কিন প্রতিষ্ঠান ফ্যাকশন হোল্ডিংস করপোরেশন। এ জন্য আগামী পাঁচ-ছয় মাস ধরে কালিয়াকৈর, সিলেট, রাজশাহী ও যশোর হাইটেক পার্কে সরেজমিন পর্যবেক্ষণ করে মূল্যায়ন প্রতিবেদন পেশ করবে প্রতিষ্ঠানটি।
এ লক্ষ্যে সোমবার আইসিটি টাওয়ারের কনফারেন্স রুমে উভয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি হয়েছে।
আইসিটি সচিব মো. সামসুল আরেফিনের সভাপতিত্বে সমঝোতা স্মারকে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক জি এস এম জাফরুল্লাহ্ এবং ফ্যাকশন হোল্ডিংস করপোরেশনের পক্ষে পরিচালক ম্যাক্স গার্জা স্বাক্ষর করেন।
হাইটেক কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক নরোত্তম পালের সঞ্চালনায় পরিচালক তবিবুর রহমান, ফ্যাকশন হোল্ডিংস করপোরেশনের জ্যেষ্ঠ পরামর্শক বিকর্ণ কুমার ঘোষ এবং আইসিটি বিভাগের বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালকেরা চুক্তি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সমঝোতার আলোকে স্মার্ট হাই-টেক পার্ক, স্মার্ট সিটি, বিদ্যমান হাই-টেক পার্কের অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তা ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স এর ব্যবহারের মাধ্যমে সেবা সহজীকরণসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে একসাথে কাজ করা হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইসিটি সচিব মো. সামসুল আরেফিন বলেন, আমাদের সাইবার সুরক্ষার জন্য স্মর্ট সল্যুশন দরকার। পাশাপাশি আমি প্রত্যাশা করবো তাইওয়ানের মতো বাংলাদেশের হাইটেক পার্কে সেমিকন্ডাক্টর কারখানা স্থাপন করা হবে।বিকর্ণ কুমার ঘোষ জানান, পাঁচ মাসের ফিজিক্যাল স্ট্যাডির পর দুই মাসের মধ্যে এই চুক্তি করতে সক্ষম হবেন তারা। তিনি বলেন আশা করি, আগামী বছরের অক্টোবরের আমরা চুক্তি অনুযায়ী কাজ শেষ করতে সক্ষম হবো। হাইটেক পার্কে স্মার্ট সল্যুশন দেয়ার পাশাপাশি ডেটার টেকসই ব্যবহারের মাধ্যমে রাজস্ব আয়ে কাজ করবে ফ্যাকশন হোল্ডিংস।
সভাপতির বক্তব্যে হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জি এস এম জাফরুল্লাহ্ বলেন, আমাদের কাজ শুধু অবকাঠামো নির্মাণ নয়। মূল লক্ষ্য স্মর্ট ও টেকসই ইকো সিস্টেম তৈরি। প্রযুক্তির ইতিবাচক ব্যবহারের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করতেই কাজ করছি আমরা।