বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে ‘সংবিধানের রক্ষণ, সমর্থন ও নিরাপত্তাবিধানের’ শপথ নিলেন মো. সাহাবুদ্দিন। সোমবার বেলা ১১টায় বঙ্গভবনের ঐতিহাসিক দরবার হলে ১০ মিনিটের এই শপথ পরিচালনা করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। আর এই শপথের মধ্যে দিয়ে টানা দুই বারের মেয়াদ শেষ করে নিকুঞ্জের প্রেসিডেন্ট লজের বাসিন্দা হলেন মোহাম্মাদ আবদুল হামিদ।
বক্তৃতায় রস ছড়িয়ে সবচেয়ে বেশি দায়িত্ব পালনকারী এই রাষ্ট্রপ্রধান দ্বিতীয় মেয়াদে উঠেছিলেন প্রযুক্তি অনুরাগী। তবে নতুন রাষ্ট্রপ্রধান কেবল অনুরক্তই নন; প্রযুক্তি ব্যবহারেও বেশ এগিয়ে। তাই হয়তো শপথ নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের টুইটার ট্রেন্ডিংয়ে চলে আসেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে গত ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত তিনি ছিলেন নিয়মিত। অনলাইন পোর্টাল বিডি নিউজ ২৪ ডটকম-এ লিখতেন নিয়মিত। বিরোধপূর্ণ সময়ে দায়িত্ব গ্রহণ করে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এখন বর্ণাঢ্য জীবনের সবচেয়ে রঙিন সময় শুরু করলেন এই বীর মুক্তিযোদ্ধা।
ক্যারিয়ার জীবনে ২০০৬ সালে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে অবসরে যান পাবনার এই কৃতী সন্তান। এরপর ২০১৬ সাল পর্যন্ত তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তার দায়িত্বগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বোন শেখ রেহানা এবং প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
নতুন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ও ছেলে আরশাদ আদনান রনিসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা ছাড়াও মন্ত্রিপরিষদ সদস্যসহ কয়েকশ অতিথি। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। নতুন ও বিদায়ী রষ্ট্রপতিকে অনলাইন সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ মন্ত্রী পরিষদ সদস্য, রাজনীতিক, সাংবাদিক, আইনজীবি ও নানা শ্রেণী ও পেশারা শুভানুধ্যায়ীরা।