৬ গুণ দ্রুত গলছে গ্রিনল্যান্ডের বরফ এই ভাবে গলতে থাকলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ২৩ ফুট পযন্ত বাড়বে, এর ফলে বাংলাদেশের মত উপকূলীয় অঞ্চলের অনেক অংশ তলিয়ে যাবে পানির নিচে।
ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরাম এর আমন্ত্রণে গ্রিনল্যান্ড এক্সপেডিশন এ অংশ নিয়ে এক বিরল অভিজ্ঞতা কথা জানালেনত থ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। রোববার (২৬ মে) বরফ গলার ভিডিওসহ এই অভিজ্ঞতার কথা জানান পলক।
ফেসবুক পোষ্টে তিনি লিখেছেন, ‘আমি সহ বিশ্বের আরও ২০ জন Young Global Leader দের এক অভিযানে আমরা হেলিকপ্টারে করে যাচ্ছিলাম। মাঝপথে আমরা ৩০ মিনিটের মত বিরতি দিয়ে একটা জায়গায় নামলাম। হঠাৎ করে এক বিকট আওয়াজ শুনতে পেলাম। প্রথমে মনে করলাম তীব্র বাতাসের শব্দ বা অন্য হেলিকপ্টারের আওয়াজ হবে। কিন্তু তাকিয়ে দেখি চোখের সামনে গলতে শুরু করেছে এক বিশাল আকৃতির বরফ যা বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছিলো।’
তিনি জানান, পৃথিবীর বৃহত্তম দ্বীপ গ্রিনল্যান্ডে ধারণার চেয়ে দ্রুতগতিতে বরফ গলছে। মহাকাশ গবেষণা বিষয়ক মার্কিন সংস্থা নাসার তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সেখানে ২০০৩ সালের পর বরফ গলার হার চার গুণ বেড়ে গেছে, যা অতীতে কখনোই ঘটেনি। এক গবেষণায় দেখা গেছে ২০১২ সালে গ্রিনল্যান্ডে ৪০ হাজার কোটি টনের বেশি বরফ গলেছে, যা ২০০৩ সালের চেয়ে চার গুণ বেশি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরফ গলেছে দক্ষিণ গ্রিনল্যান্ড অঞ্চলে।
পলক বললে, ‘এভাবে গ্রিনল্যান্ডের সব বরফ গললে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ২৩ ফুট পর্যন্ত বেড়ে যাবে যার ফলে বাংলাদেশের মতো উপকূলীয় অঞ্চলগুলোর অনেক অংশ পানির নীচে তলিয়ে যাবে এবং প্রায় ২ কোটি মানুষকে নিরাপদ জায়গায় স্থানান্তর করতে হবে।’
যদিও এই তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ দায়ী নয় কিন্তু ভুক্তভুগী হব আমরাই। তাই আমাদের এখনি উন্নত দেশ গুলোকে চাপ প্রয়োগ করতে হবে যেন তারা বৈশ্বিক তাপমাত্রা কমানোর ব্যাপারে দ্রুত উদ্যোগ নেয়।