মালয়েশিয়ার যোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা চীনের টেনসেন্টের উইচ্যাট ও বাইটড্যান্সের টিকটককে নতুন সামাজিক মাধ্যম আইন অনুযায়ী দেশে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য লাইসেন্স অনুমোদন দিয়েছে। তবে, কিছু অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম এখনও লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেনি। খবর রয়টার্স।
নতুন আইনটি সাইবার অপরাধ মোকাবিলার লক্ষ্যে প্রণয়ন করা হয়েছে, যা গতকাল (১ জানুয়ারি ২০২৫) থেকে কার্যকর হয়েছে। এই আইনের আওতায় যেসব সামাজিক মাধ্যম বা মেসেজিং সেবার ব্যবহারকারী সংখ্যা মালয়েশিয়ায় ৮ মিলিয়নের বেশি, তাদের লাইসেন্স গ্রহণ বাধ্যতামূলক।
মালয়েশিয়ার কমিউনিকেশনস অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া কমিশন (এমসিএমসি) জানিয়েছে, মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামের লাইসেন্স প্রক্রিয়া প্রায় শেষের দিকে। অন্যদিকে, মেটা প্ল্যাটফর্মস (ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপের মালিক) লাইসেন্স প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
তবে, এক্স (সাবেক টুইটার) দাবি করেছে যে তাদের মালয়েশিয়ায় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৮ মিলিয়নের কম, এজন্য তারা এখনও আবেদন করেনি। এমসিএমসি এক্স-এর এই দাবির যথার্থতা পর্যালোচনা করছে।
ইউটিউবের মালিকানা প্রতিষ্ঠান গুগল এখনও লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেনি। এমসিএমসি জানিয়েছে যে ইউটিউবের ভিডিও শেয়ারিং ফিচার ও তা কীভাবে এই আইন অনুযায়ী শ্রেণিবদ্ধ হবে তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। তবে, ইউটিউবকে এই আইনের অধীনে নিয়ম মেনে চলতে হবে।
২০২৪ সালের শুরুতে মালয়েশিয়ায় ক্ষতিকর সামাজিক মাধ্যম কনটেন্টের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল। মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ সামাজিক মাধ্যম কোম্পানিগুলোকে, বিশেষ করে মেটা ও টিকটক, তাদের প্ল্যাটফর্মে পর্যবেক্ষণ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে।
মালয়েশিয়ার আইন অনুযায়ী, অনলাইন জুয়া, প্রতারণা, শিশু পর্নোগ্রাফি ও শোষণ, সাইবার বুলিং এবং জাতি, ধর্ম ও রাজতন্ত্র সম্পর্কিত বিষয়বস্তু ক্ষতিকর হিসেবে বিবেচিত হয়।
ডিবিটেক/বিএমটি