আইক্লাউড ফটোতে শিশু যৌন নিপীড়ন সম্পর্কিত উপকরণ (সিএসএএম) সনাক্তের জন্য একটি সিস্টেম চালু না করার সিদ্ধান্তের কারণে অ্যাপলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। খবর টেকক্রাঞ্চ।
দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, মামলায় অভিযোগে বলা হয় অ্যাপল এই উপকরণ ছড়ানো প্রতিরোধে যথেষ্ট পদক্ষেপ না নিয়ে ভুক্তভোগীদের আবারও তাদের ট্রমার মুখোমুখি হতে বাধ্য করছে। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, অ্যাপল শিশু সুরক্ষার জন্য একটি উন্নত নকশা চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, কিন্তু পরবর্তীতে সেটি কার্যকর করতে ব্যর্থ হয়েছে।
২০২১ সালে অ্যাপল প্রথম এই সিস্টেমটি ঘোষণা করে। এতে বলা হয়েছিল, ন্যাশনাল সেন্টার ফর মিসিং অ্যান্ড এক্সপ্লয়টেড চিলড্রেন এবং অন্যান্য সংস্থার ডিজিটাল সিগনেচার ব্যবহার করে আইক্লাউড লাইব্রেরিতে পরিচিত সিএসএএম কনটেন্ট সনাক্ত করা হবে। তবে, গোপনীয়তা ও সুরক্ষা বিশেষজ্ঞরা এর মাধ্যমে সরকারের নজরদারির ঝুঁকি তৈরি হতে পারে বলে সতর্ক করলে অ্যাপল এ পরিকল্পনা ত্যাগ করে।
মামলাটি দায়ের করেছেন ২৭ বছর বয়সী এক নারী। যদিও তিনি ছদ্মনামে অ্যাপলের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, তাকে শৈশবে এক আত্মীয় নিপীড়ন করেছিল এবং তার ছবি অনলাইনে শেয়ার করেছিল। এখনো প্রতিদিন তিনি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছ থেকে এই ছবি ধারণ বা শেয়ার করার অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সম্পর্কে নোটিশ পান।
এই মামলায় সম্পৃক্ত আইনজীবী জেমস মার্শ বলেছেন যে, এ মামলায় প্রায় ২,৬৮০ জন ভুক্তভোগী ক্ষতিপূরণের জন্য যোগ্য হতে পারেন।
অ্যাপলের একজন মুখপাত্র দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস-কে বলেছেন, ‘কোম্পানি সকল ব্যবহারকারীর নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি এই অপরাধগুলোর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে’।
উল্লেখ্য, আগস্টে ৯ বছর বয়সী একটি মেয়ে এবং তার অভিভাবকও আইক্লাউডে সিএসএএম প্রতিরোধে ব্যর্থতার অভিযোগে অ্যাপলের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন।
ডিবিটেক/বিএমটি