ফেডারেল ইলেকশন কমিশনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ইলন মাস্ক ২০২৪ সালের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বিজয়ী করতে ২৬০ মিলিয়ন ডলারের বেশি দান করেছেন। এর ফলে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের “ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট অ্যাফিসিয়েন্সি”-এর সহ-প্রধান হিসেবে পদ পেয়েছেন। খবর টেকক্রাঞ্চ।
দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, মাস্ক ও তার নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠানগুলো এই নির্বাচনী চক্রে মোট ২৭৭ মিলিয়ন ডলার দান করেছেন, যা তাকে নির্বাচনের সবচেয়ে বড় দাতা হিসেবে স্থান দিয়েছে।
ইলন মাস্ক টেসলা, স্পেসএক্স এবং এক্সএআই এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। তিনি এক্স, দ্য বোরিং কোম্পানি এবং নিউরালিঙ্কেরও মালিক। ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে ডিরেগুলেশন নীতিমালার মাধ্যমে মাস্কের বিভিন্ন ব্যবসা, বিশেষ করে এআই এবং মহাকাশ গবেষণা খাতে সুবিধা পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
মাস্ক তার দানের একটি বড় অংশ, প্রায় ২৩৮.৫ মিলিয়ন ডলার, তার প্রতিষ্ঠিত আমেরিকা প্যাক-এ দিয়েছেন। এই সুপার প্যাকটি নির্বাচনে প্রধানত ট্রাম্পের পক্ষে কাজ করেছে এবং সামাজিক মাধ্যমে ডেমোক্র্যাটদের কার্টুনসুলভ ও বিভ্রান্তিকর বার্তা প্রচার করেছে।
মাস্কের এই সুপার প্যাক দৈনিক ১ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছিল, যা ভোটারদের নির্দিষ্ট অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করার শর্তে প্রদান করা হয়। এই কর্মকাণ্ডকে “অবৈধ লটারি” হিসেবে উল্লেখ করে ফিলাডেলফিয়ার জেলা অ্যাটর্নি মামলা করলেও আদালত তাতে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেয়নি।
মাস্ক আরবিজি প্যাকে সাড়ে ২০ মিলিয়ন ডলার দান করেছেন, যা বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে দাবি করেছে যে প্রয়াত সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি রুথ বাডার গিন্সবার্গের গর্ভপাত বিষয়ক অবস্থান ট্রাম্পের সঙ্গে মিলে যায়। যদিও গিন্সবার্গ গর্ভপাত অধিকারকে সমর্থন করতেন।
এছাড়াও মাস্ক এমএএইচএ অ্যালায়েন্স সুপার প্যাক-এ ৩ মিলিয়ন ডলার দান করেছেন।
মাস্কের রাজনৈতিক দানের মোট অংক এখনো স্পষ্ট নয়। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এটি আরও বেশি হতে পারে।
ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার্স ইনডেক্স অনুযায়ী, ইলন মাস্কের বর্তমান সম্পদের পরিমাণ ৩৬১.৭ বিলিয়ন ডলার। ট্রাম্পের বিজয়ের পর মাস্কের সম্পদ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতি মাস্কের এই আর্থিক সমর্থন এবং তার ব্যক্তিগত লাভের উদ্দেশ্য রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচিত হচ্ছে।
ডিবিটেক/বিএমটি