আমেরিকায় কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হলে জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটককে মালিকানা পরিবর্তনের শর্ত মানতেই হবে। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) মার্কিন ফেডারেল আপিল আদালত এই সিদ্ধান্ত দিয়েছে। আগামী ১৯ জানুয়ারির মধ্যে চীন-ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্স টিকটকের মালিকানা থেকে সরে না দাঁড়ালে, অ্যাপটি দেশটিতে নিষিদ্ধ হবে। খবর রয়টার্স।
বাইডেন প্রশাসনের অভিযোগ, টিকটক ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য চীনা সরকারের হাতে চলে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। ফলে জাতীয় নিরাপত্তা এবং ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষা করতে অ্যাপটির চীনা মালিকানা বদলানোর দাবিতে অটল রয়েছে সরকার। তবে টিকটক এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।
টিকটক আশা করেছিল, আদালত সরকারের সিদ্ধান্ত স্থগিত করবে। কিন্তু ফেডারেল আপিল আদালত সরকারের অবস্থানকে সমর্থন করেছে। আদালত বলেছে, জাতীয় নিরাপত্তার জন্য এই আইন তৈরি করা হয়েছে কংগ্রেস ও দুই প্রেসিডেন্টের যৌথ তত্ত্বাবধানে।
এদিকে, বাকস্বাধীনতার পক্ষে থাকা সংস্থাগুলো এই রায়কে সমালোচনা করেছে। আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন (এসিএলইউ) বলেছে, “এই সিদ্ধান্ত লাখো ব্যবহারকারীর প্রথম সংশোধনীতে দেওয়া অধিকার লঙ্ঘন করেছে”।
বাইটড্যান্স এখন মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে আপিল করতে যাচ্ছে। যদি সুপ্রিম কোর্টও রায় বহাল রাখে, তাহলে ১৯ জানুয়ারির মধ্যে কোম্পানিটিকে টিকটকের মালিকানা ছেড়ে দিতে হবে। বাইটড্যান্স চাইলে ৯০ দিনের সময় বৃদ্ধির আবেদন করতে পারে। তবে প্রেসিডেন্ট বাইডেন এই সময় দেবেন কি না, তা এখনও পরিষ্কার নয়।
২০ জানুয়ারি থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। যদিও তিনি ২০২০ সালে টিকটক নিষিদ্ধ করার চেষ্টা করেছিলেন, তখন তা সম্ভব হয়নি। এবার ট্রাম্প বলেছেন, টিকটক নিষিদ্ধ করার প্রয়োজনীয়তা তিনি দেখছেন না।
টিকটক নিষিদ্ধ হলে, এটি মার্কিন প্রযুক্তি খাত এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের ওপর বড় প্রভাব ফেলতে পারে। একইসঙ্গে এই রায় বিদেশি মালিকানাধীন অ্যাপগুলোর ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে।
ডিবিটেক/বিএমটি