নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিলিয়নিয়ার উদ্যোক্তা এবং প্রাইভেট নভোচারী জ্যারেড আইজাকম্যানকে নাসার পরবর্তী প্রধান হিসেবে মনোনীত করেছেন। ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে নাসা গুরুত্বপূর্ণ কিছু পরিবর্তন ও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে, যেমন আর্টেমিস প্রোগ্রামের অগ্রগতি, মহাকাশ বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের (আইএসএস) ডি-অরবিটিং। খবর টেকক্রাঞ্চ।
পেমেন্ট প্রসেসিং প্ল্যাটফর্ম শিফট৪ এর প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আইজ্যাকম্যান বাণিজ্যিক মহাকাশ অভিযানের অন্যতম বড় সমর্থক। তার পোলারিস প্রোগ্রামের অধীনে তিনি স্পেসএক্সের মাধ্যমে দুটি কক্ষপথ মিশনের পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন। এর মধ্যে একটি মিশনে তিনি নতুন মহাকাশযাত্রা স্যুট ব্যবহার করে প্রথম প্রাইভেট স্পেসওয়াক সম্পন্ন করেন।
তিনি নিজ অর্থায়নে হাবল টেলিস্কোপের কক্ষপথ বৃদ্ধি করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন, যদিও নাসা তা গ্রহণ করেনি। স্পেসএক্সের মাল্টি-প্ল্যানেটারি জীবন তৈরির প্রচেষ্টারও তিনি একজন বড় সমর্থক।
নাসার প্রায় ২৫ বিলিয়ন ডলার বাজেট, ১৮ হাজার কর্মী এবং বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালনার দায়িত্বে আইজাকম্যান বড় পরিবর্তন আনতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাজেটের সীমা লঙ্ঘন ও বিলম্বিত প্রকল্পের কারণে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি বাধার মুখে পড়েছে। এর মধ্যে আর্টেমিস প্রোগ্রামের অধীনে চাঁদে মানুষের পরবর্তী অভিযানও রয়েছে।
একটি বিবৃতিতে আইজাকম্যান বলেন, “নাসা মানব জাতিকে সত্যিকারের মহাকাশ অভিযাত্রী জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দেবে”।
আইজ্যাকম্যান নাসার বর্তমান প্রধান বিল নেলসনের স্থলাভিষিক্ত হবেন, যিনি ২০২১ সালে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নিয়োগে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। তবে, আইজাকম্যানকে এই পদে দায়িত্ব পালন করতে হলে সিনেটের অনুমোদন প্রয়োজন হবে।
ডিবিটেক/বিএমটি