অস্ট্রেলিয়ার নতুন আইনে ১৬ বছরের কম বয়সিদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার নিষিদ্ধ করার পর এর তীব্র সমালোচনা করেছেন মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক। তিনি এ আইনকে “ইন্টারনেট প্রবেশ নিয়ন্ত্রণের একটি গোপন পদ্ধতি” হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তবে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী এন্থনি আলবেনিজ মাস্কের এ মন্তব্য প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, মাস্ক নিজের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য এ ধরনের সমালোচনা করছেন।
অস্ট্রেলিয়ার নতুন এই আইনের অধীনে ১৬ বছরের কম বয়সিরা কোনোভাবেই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করতে পারবে না। এমনকি অভিভাবকের অনুমতি থাকলেও এই নিষেধাজ্ঞার ব্যতিক্রম সম্ভব নয়। আইনটি বাস্তবায়িত হলে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক, এবং এক্স (সাবেক টুইটার)-এর মতো প্ল্যাটফর্মে বড় প্রভাব পড়বে।
আইনটির উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো না হলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর ওপর এটি কার্যকরভাবে দায়িত্ব আরোপ করেছে। আগামী ১২ মাসের মধ্যে এই বিধিনিষেধ কার্যকর করা হবে।
এক্স-এর মালিক ইলন মাস্ক, যিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ হিসেবেও পরিচিত, এ আইন নিয়ে বলেন, এটি অস্ট্রেলীয়দের ইন্টারনেটে প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণের একটি গোপন কৌশল হতে পারে। তার মতে, এটি শুধুমাত্র তরুণ প্রজন্মের স্বাধীনতা নয়, বরং সার্বিকভাবে ডিজিটাল স্বাধীনতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
মাস্কের সমালোচনার জবাবে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী এন্থনি আলবেনিজ বলেন, তার সরকার যেকোনো বিষয়ে আলোচনায় প্রস্তুত। গণমাধ্যমের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, “আমরা যে-কারো সঙ্গেই আলোচনা করতে প্রস্তুত”।
তিনি আরও বলেন, “ইলন মাস্কের নিজস্ব এজেন্ডা রয়েছে। তিনি এক্স-এর মালিক হিসেবে সেটি সামনে আনতে চান”।
একই প্রশ্নে যখন মাস্কের ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়, তখন আলবেনিজ বলেন, “আমরা আলোচনা করবো, অবশ্যই করবো”।
এই আইনের ভবিষ্যৎ কার্যকারিতা এবং সামাজিক প্রভাব নিয়ে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। তবে মাস্ক এবং অস্ট্রেলিয়ার সরকারের মধ্যকার এই বিতর্ক আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি নীতির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত হতে পারে।
ডিবিটেক/বিএমটি