দেশের টেলিকম সেবাদাতাদের মধ্যে সমতা আনতে বিটিআরসি’র মাধ্যমে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় ‘লড়াই’ করছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে টেলিকম খাতে সমতা আনতে লড়াই করছি। একটি প্রতিযোগিতামূলক অবস্থায় নিয়ে এসে মানসম্মত সেবা দিতেই এই লড়াই। জায়ান্টদের সঙ্গে এই প্রতিযোগিতায় এখন রবি’র জন্য আমরা অনুকূল পরিবেশ তৈরি করেছি। আশা করছি, তারা এই পরিবেশ কাজে লাগাবে।
ডাটাথনের দ্বিতীয় সংস্করণের সমাপনী অনুষ্ঠান বুধবার (১৭ অগাস্ট, ২০২২) রাজধানীর একটি হোটেলে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
এসময় চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে ‘টেলিকম নেতৃত্ব দেবে’ উল্লেখ করে এজন্য টেকসই মহাসড়ক তৈরিতে টেলকোদের প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী। এছাড়াও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ছাড়া ভবিষ্যতে কোনো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান চলবে না সতর্ক করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ বিষয়টি অন্তর্ভূক্তির আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, তেল ও স্বর্ণের চেয়েও অনেক বেশি মূল্যবান হয়ে উঠতে পারে ডাটা। এজন্য প্রয়োজন দক্ষ ডাটা সায়েন্টিস্ট ও ডাটা ইঞ্জিনিয়ার যারা ডাটার এই মূল্যায়ন তেমন পর্যায়ে পৌঁছে দিতে পারবেন ।
অনুষ্ঠানে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, “তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ হয়েছে আমেরিকায়। তৃতীয় শিল্পযুগ মিস করার পর বাংলাদেশ আকস্মিক ভাবে প্রবেশ করেছে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে রূপান্তরে ডিজিটাল রূপান্তরের পথ ধরে ২০৪১ সালে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ করবো। তবে আশির দশকেই মালোয়েশিয়া স্মার্ট স্কুল করেছে। তখন তারা মাল্টিমিডিয়া সুপার করিডোর করে তখন তাদের অনেকেই পাগল বলেছিলো।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ডেটা সভরেইনিটি না করলে সিলিকনভ্যালির উন্নয়ন হবে আমাদের নয়। তাই ডেটা প্রসেসিংয়ে রেগুলেটরি ফ্রেমওয়ার্ক নীতি তৈরি করা এখন সময়ের দাবি। প্রযুক্তি ভিত্তিক মানব সম্পদ গড়তে হলে এখন সরকার, ইন্ডাস্ট্রি ও অ্যাকাডেমিয়ার পাশাপাশি প্রফেশনালসদের অন্তর্ভূক্তি করতে হবে।