মানসম্মত গ্রাহকসেবা দিতে না পারায় বুধবার দেশের শীর্ষ মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোনের সিম বিক্রিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। তবে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়নি বাস্তবে। বৃহস্পতিবার রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গ্রামীণফোনের ডিলার হয়ে খুচরা পর্যায়ে অপারেটরটির সিম বিক্রি হতে দেখা গেছে।
খুচরা বিক্রেতাদের ভাষ্য অনুযায়ী, গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে তারা এখনো সিম বিক্রি বন্ধ রাখার কোনো বার্তা পাননি। আজও তাদেরকে সরবরাহ করা হয়েছে নতুন সিম।
অবশ্য রিটেইলারদের কাছে থাকা সিম বিক্রি বন্ধ করা নিজেদের দায়িত্ব নয় বলে জানিয়েছে গ্রামীণফোন। উপরন্তু গণমাধ্যমকে জানানো হয়েছে, এসব সিম ফেরতও নেবেন না তারা।
আর পুরো বিষয়টি ‘অপ্রত্যাশিত’ মন্তব্য করে গ্রামীণফোনের হেড অব কমিউনিকেশনস খায়রুল বাশার জানিয়েছেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থার জরিপে বেঁধে মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হয়েছে তারা। তারপরও গ্রাহক সেবার মান বাড়াতে সবশেষ নিলাম থেকে ৬০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ কেনা হয়েছে। এ অবস্থায় নিয়ন্ত্রক সংস্থার সিদ্ধান্তে হতাশ তারা। এভাবেই বিটিআরসির অভিযোগকে অস্বীকার করছে অপারেটরটি।
এদিকে ভয়েস কল ও ইন্টারনেট সংযোগে গ্রাহকদের ‘মানসম্মত সেবা দিতে না পারার’ কারণে বুধবার নতুন সিম বিক্রির ওপর বিটিআরসি থেকে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পর বৃহস্পতিবার পুঁজিবাজারে দেশের সবচেয়ে বড় এ মোবাইল কোম্পানির শেয়ার দর পড়ে গেছে। সকালে লেনদেন শুরুর পরপরই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে গ্রামীণফোনের শেয়ারের দাম কমতে শুরু করে। আগের দিন এ শেয়ারের সমাপনী দর ছিল ৩০০ টাকা ১০ পয়সা। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় তা ৬ টাকা কমে ২৯৪ টাকা ১০ পয়সা হয়।