রংপুর বিভাগে চতুর্থ প্রজন্মের নির্ধারিত গতির ইন্টারনেট সেবায় বেহাল দশা পেয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। সেখানে ৭ জেলার ২৮ উপজেলায় পরিচালিত ড্রাইভ টেস্টে দেখা গেছে, এক মাত্র মোবাইল অপরেটর রবি ছাড়া অন্য কোনো অপারেটরই নির্ধারিত ন্যূনতম ডাউনলোড গতি সেকেন্ড প্রতি ৭ মেগাবিট ছুঁতে পারেনি।
এক্ষেত্রে ফোর জি সেবায় রবি’র ডাউনলোড গতি উঠেছে প্রতি সেকেন্ডে ৮.৩৬ মেগাবিট। এর পরের অবস্থা থাকা বাংলালিংকের গতি ৬.৮২ মেগাবিট এবং গ্রামীণফোন ও টেলিটকের গতি মিলেছে যথাক্রমে ৫.০৬ এবং ২.৪৮ মেগাবিট।
পরীক্ষায় দেখা গেছে,থ্রি জির ক্ষেত্রেও ওই অঞ্চলে রবি ও বাংলালিংক সেকেন্ড প্রতি ন্যূনতম গতি ২ এমবিপিএস এর মান ছুঁতে পেরেছে। রবির ৩.৩০ ও বাংলালিংকের ২.৮৮ মেগাবিট গতি পেয়েছে বিটিআরসি। আর গ্রামীণফোনের সেকেন্ডে ১ দশমিক ১৭ মেগাবিট এবং টেলিটকের ১.১৮ মেগাবিট গতি মিলেছে।
রংপুরে ইন্টারনেট সেবায় রবি অন্য তিন অপারেটরের চেয়ে ভালো অবস্থানে থাকলেও কল সেবা মানে আছে রেড জোনে। রবি’র সেখানে প্রাপ্ত নম্বর ২.৭৫।
দেশে গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংক আনুষ্ঠানিকভাবে চতুর্থ প্রজন্মের টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তি বা ফোর–জি সেবা চালু করে ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে। পরে এ সেবা চালু করে টেলিটকও।
গত নভেম্বরে প্রকাশিত বিটিআরসির হিসাব অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা ১২ কোটি ৯২ লাখ। তাদের মধ্যে ফোর জি গ্রাহক ৬ কোটি ৯১ লাখ, থ্রি জি গ্রাহক ৩ কোটি ৬২ লাখ।
এর মধ্যেই রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম অপারেটর টেলিটক গত ১২ ডিসেম্বর পরীক্ষামূলকভাবে দেশের ছয়টি স্থানে ফাইভ জি পরিষেবা চালু করে। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া, বাংলাদেশ সচিবালয়, সাভারে অবস্থিত জাতীয় স্মৃতিসৌধ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, ধানমন্ডি ৩২ ও ঢাকার শেরেবাংলা নগরে চালু হয় সেবাটি।