চতুর্থ প্রজন্মের ওয়াইম্যাক্স প্রযুক্তিতে কিউবি, বাংলা লায়ন এবং ওলোর মতো প্রতিষ্ঠান যখন ব্যবসায় গুটিয়ে নিয়েছে তখন শুরু হয়েছে পিছিয়ে পড়াদের জন্য সাশ্রয়ী তারহীন প্রযুক্তির ইন্টারনেট সেবা চালুর নতুন চ্যালেঞ্জ। এই প্রচেষ্টায় মিলবে মাত্র ২৫০ টাকা দিয়ে ৫ এমবিপিএস চলমান ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ। ঢাকার বস্তিগুলো থেকে শুরু হতে পারে এই সেবা। এমন একটি পরিকল্পনাই আজ বুধবার হাতে পেয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশী সাবির খসরু দেশে এই সেবা চালু করতে ভার্চুয়াল বৈঠকে এই প্রস্তাব দিয়েছেন। তার মালিকানধীন এক্সানেটের মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায়ে এই ওয়্যারলস ব্র্যান্ডব্যান্ড সেবা চালু পরিকল্পনা নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন মন্ত্রী।
বৈঠকের পর সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ নিয়ে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেন মন্ত্রী। তিনি লিখেছেন- ‘একটি নতুন সম্ভাবনার দুয়ারে দাঁড়িয়ে আছি। প্রস্তাবনা হলো কোন সিম কার্ড বা মোবাইল ফোনের নেটওযার্ক নয় আপনার স্মার্ট মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, ট্যাব এর যে কোনটি দিয়ে মাসে মাত্র ২৫০ টাকা দিয়ে ৫ এমবিপিএস চলমান ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন।’
ট্যারিফ প্লানের বাইরে এত কম মূল্যে ইন্টারনেট সেবার রহস্য সম্পর্কে জানতে চাইলে ডিজিবাংলাকে মন্ত্রী বলেন, একটি প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যেই আমাদের প্রোপোজ করেছে, যে তারা একটা স্পেকট্রাম নিচ্ছে। স্পেক্ট্রাম তাদের অলরেডি আছে। ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত আছে। এরা এটাকে আরো এক্সপান্ড করবে। ওরা আরো স্পেকট্রাম ইউজ করে যে কোনো ডিজিটাল ডিভাইসে ৫ এমবি পিএস এর জন্য পুরো মাসে চার্জ নেবে আড়াইশো টাকা। আমরা আশা করছি খবু দ্রুত এই কাজ শুরু করবে। যারা বস্তিতে থাকেও একজন যে কোনো ডিভাইসে এই ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবে।’
কবে থেকে এই সেবা চালু হবে তা এখনই নিশ্চিত না করলেও এই পরিকল্পনার পেছনে নিজের বাড়তি আগ্রহের কথাও জানিয়েছেন টেলিকম মন্ত্রী। বলেছেন, যেই জনগোষ্ঠী ইন্টারনেট ব্যয় অ্যাফোর্ড করতে পারে না তাদের জন্য যদি আমি আড়াই শ’ টাকায় এক মাস ৫ এমবি গতির ইন্টারনেট দিতে পারি এটা কিন্তু আমার একটা রেভ্যুলেশন।’
পিছিয়ে পড়াদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যের সেবা পরিকল্পনাকে মডেল ধরে এটাকে টেকসই ব্যবসায় মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনার কথাও যোগ করেন তিনি। ‘আমরা এটাকে মডেল হিসেবে দাঁড় করাতে চাই। অন্যকেউ যদি আসে আমাদের কিছু স্পেকট্রাম আছে তা তুলনামূলক কম মূল্যে দেবো।’