চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) বাংলাদেশে স্মার্টফোনের বাজার বেড়েছে ৪৫ শতাংশ। এর মধ্যে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত স্মার্টফোনের বাজার বেড়েছে (কিউ-ও-কিউ) ২৯ শতাংশ। আর বর্তমানে এই হার উন্নীত হয়েছে ৪১ শতাংশে।
বাংলাদেশের বাজার নিয়ে এ তথ্য দিয়েছে কাউন্টার রিসার্চ। প্রতিবেদন অনুযায়ী, বছরের প্রথম প্রান্তিকে বাংলাদেশের স্মার্টফোন বাজারের ৩৯ শতাংশ ছিলো স্থানীয় ব্র্যান্ডের দখলে। এর মধ্যে ২৫-৭৫ ডলারে ফোন দিয়ে ম্যাক্সিমাসের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭৯৩ শতাংশ।
স্যামসাং জে২ কোরের’র পর ম্যাক্সিমাস ডি৭ ছিলো এই প্রান্তিকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বিক্রিত ফোন। বাংলাদেশে উৎপাদন শুরু করায় দারুণভাবে বেড়েছে স্যামসাং এর বাজার। এক্ষেত্রে স্যামসাং গ্যালাক্সি জে২ কোর। অবশ্য স্যামসাং এ সিরিজের স্মার্টফোন বাজার শ্রেষ্ঠত্বে ভূমিকা রেখেছে।
অন্যদিকে বছর ভিত্তিক হিসাবে, বিদায়ী প্রান্তিকে বাংলাদেশে চীনা ব্র্যান্ডের বাজার বেড়েছে ৩৮ শতাংশ। তাদের ব্র্যান্ডগুলো দখল করেছে মোট বাজারের ৩৩ শতাংশ। এরমধ্যে বেশির ভাড় জায়গা জুড়ে ছিলো হুয়াওয়ে, শাওমি, অপো এবং ভিভো ব্র্যান্ড।
বাজর গবেষণা বিষয়ে কাউন্টার রিসার্চ গবেষণা সহযোগী অভিষেক চৌধুরী জানিয়েছেন, স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের নির্মিত ফোনগুলো সফলতা দেখছে। আমদানিকৃত ফোন অপেক্ষা এদের দাম কম হয়। তাছাড়া এদের বানানো ফোনগুলোর ভুল-ত্রুটি স্পষ্টভাবে কমে এসেছে। তাই এদের জনপ্রিয়তা বাড়বেই।
এদিকে মূল্য ও পরিমাণ সবমিলিয়ে ব্র্যান্ড ভ্যালুতে শীর্ষে রয়েছে স্যামসাং। এই প্রান্তিকে ব্র্যান্ডটির সরবরাহ বেড়েছে ২০৩ শতাংশ। ২০১৮ সালের প্রথম প্রান্তিকে এর চাহিদা ১০ শতাংশ থেকে এ বছরের প্রথম প্রান্তিকে বেড়েছে ২২ শতাংশ।
বাজার অংশ তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকার সিম্ফনি ‘র বিক্রিও বছরের প্রথম প্রান্তিকে কমেছে। গত বছরে শীর্ষে থাকা সিস্ফোনির চাহিদা ২১ শতাংশ থেকে কমে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে ১৫ শতাংশে নেমে এসেছে। তাদের সর্বাধিক বিক্রিত ভি৯৮ ফোনের চাহিদা কমার সাথে সাথেই এমনটা ঘটে। সিম্ফনির শিপমেন্ট ১৯ শতাংশ কিউ-ও-কিউ কমলেও ২ শতাংশ ওয়াই-ও-ওয়াই বেড়েছে।
একইভাবে ওয়ালটনের বাজার চাহিদা ১৫ শতাংশ থেকে ১২ শতাংশে নেমে এসেছে। শাওমি ৪ শতাংশ থেকে বেড়ে ঠেকেছে ৭ শতাংশে। এর ওয়াই-ও-ওয়াই সরবরাহ বেড়েছে ১৬৫ শতাংশ। বাজারের ৭ শতাংশ শাওমির দখলে।
প্রথম প্রান্তিকে ভিভো চমক দেখিয়েছে। ওয়াই-ও-ওয়াই হিসেবে এর বিক্রি বেড়েছে ১১৩৩ শতাংশ। বাংলাদেশে সিম্ফোনি, ম্যাক্সিমাস এবং ওয়ালটনের মোবাইলও বেশ ভালো করছে।
আর অন্যান্য ব্র্যান্ডের মোবাইলগুলোর চাহিদা সার্বিকভাবে কমেছে। গত বছরের প্রথম প্রান্তিকে এর চাহিদা ৪৯ শতাংশ থেকে হ্রাস পেয়ে এ বছরের প্রথম প্রান্তিকে ৩৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
বছরের প্রথম প্রান্তিকে প্রাথমিক ধাপে ১৫ থেকে ১৯.৯৯ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা ফোনগুলোর জনপ্রিয়তা বেড়েছে। এর চাহিদা কিউ-ও-কিউ হিসেবে বেড়েছে ২০৩ শতাংশ। আর এ ক্ষেত্রে সুবিধা পেয়েছে স্যামসাং গ্যালাক্সি এ৩০।
এছাড়াও স্মার্টফোনের র্যাম ৪জিবি বা তার বেশি হলে তার বিক্রি কিউ-ও-কিউ বৃদ্ধি পেয়েছে ১৯৭ শতাংশ। এখানেও সুবিধা বাগিয়ে নিয়েছে স্যামসাং।
অন্যদিকে অভ্যন্তরীণ স্টোরেজ ৬৪ জিবি’র ফোন কিউ-ও-কিউ হিসেবে বেড়েছে ১৯৭ শতাংশ। একইভাবে ৪০০১-৫০০০ এমএএইচ ব্যাটারির চাহিদা বেশ বেড়েছে। এসব ফোনের চাহিদা কিউ-ও-কিউ ভিত্তিতে বেড়েছে ৮৮ শতাংশ।