চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে এক হাজার ১২১ কোটি ৩০ লাখ টাকা আয় করেছে বাংলালিংক। এরফলে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় তা সাড়ে ৪ শতাংশ বেশি আয় করতে পেরেছে রবি’র কর্তৃক এয়ারটেল অধিগ্রহণের পর এক ধাপ পিছিয়ে যাওয়া এই অপারেটরটি। গ্রাহকরা চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে অপারেটরটিকে ১১২ টাকা করে আয় দিয়েছে। গত বছরেই একই সময়ে তারা দিয়েছিলো মাসে ১০৯ টাকা করে দিয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বছর ব্যবধানে একই প্রান্তিকে সক্রিয় গ্রাহক ২ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে বাংলালিংক গ্রাহক তিন কোটি ৩০ লাখে পৌঁছেছে। এরফলে প্রথম প্রান্তিকে অপারেটরটির কর পূর্ববর্তী আয় হয়েছে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা।
অবশ্য গ্রাহক বাড়াতে না পারায় আয় কমে যাওয়া এবং কর্মী ছাঁটাই নিয়ে গত কয়েক বছর ধরে সাম্প্রতিক সময়ে কমলা-কালো ডোরাকাটা জাতাভ্যিমানটির প্রতি মোটেই সুবিচার করতে পারছিলো না তৃতীয় অবস্থানে থাকা বাংলালিংক।
বলা হচ্ছে, নেটওয়ার্কের মান উন্নয়ন করে কয়েক বছরের মধ্যে আয়ের বিচারে এখন সেরা সময় পার করছে অপারেটরটি।
জানাগেছে, কয়েক বছর আগেও প্রতি প্রান্তিকে এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৩০০ কোটি টাকা আয় করলেও গত বছর এই আয় এক হাজার কোটি টাকার বেশি করতে পারেনি।
মূলত নেটওয়ার্কের অবস্থা খারাপ হওয়ার কারণে অপারেটরটি গ্রাহক হারিয়েছে বলে আর্থিক প্রতিবেদনেও স্বীকার করেছে বাংলালিংক এর মূল কোম্পানি ভিয়ন।
এতে জানানো হয়, নেটওয়ার্কের মান বাড়িয়ে গ্রাহক ধরে রাখতে গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে অপারেটরটি আরও ১০ মেগাহার্ডজ স্পেকট্রাম কিনেছে। একই সঙ্গে নেটওয়ার্কের মানোন্নয়নেও বিনিয়োগ করেছে। এর ফলশ্রুতিতে জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তিন মাসে অপারেটরটির মোট আয় বেড়েছে। ভয়েসের পাশাপাশি ডেটা থেকেও আয় বেড়েছে। সে কারণে গ্রাহক প্রতি মাসিক গড় আয়েও ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে।
