দেশে মোবাইলফোন উৎপাদনকে উৎসাহিত করতে ৮৭ ধরনের কাঁচামালের ওপর প্রযোজ্য আমদানি শুল্ক মূল্যভিত্তিক ১ শতাংশের অতিরিক্ত শুল্ক এবং সবধরনের ভ্যাট হতে অব্যাহতি দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম স্বাক্ষরিত একটি আদেশে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ জুন) জারি করা এই আদেশ ১১ জুন থেকে কার্যকর হবে এবং আগামী ২০২২ সালের ৩০ জুন পযর্ন্ত বলবৎ থাকবে।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখিত টেবিল-১ ও টেবিল-২ এর আওতায় এইচএস কোডের বিপরীতে এই অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। টেবিল-৩ ও টেবিল-৪ এ অন্তর্ভুক্ত ১১ ধরনের কাঁচামালে প্রযোজ্য আমদানি শুল্ক মূল্যভিত্তিক ১০ শতাংশের অতিরিক্ত শুল্ক এবং যাবতীয় ভ্যাট হতে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তবে এ জন্য ৫টি শর্ত জুড়ে দিয়েছে এনবিআর।
শর্তগুলোর মধ্যে রায়েছে, মোবাইল ফোনে ব্যবহৃত ব্যটারি চার্জার ও আনুষঙ্গিক যন্ত্রাংশ নিজেদের তৈরি করতে হবে অথবা স্থানীয় ভেন্ডরের কাছ থেকে সংগ্রহ করতে হবে।
মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন ২০১২ এবং মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক বিধিমালা ২০১৬ এর অধীন নিয়মিত দাখিলপত্র (রিটার্ন) দাখিল করে এমন সেলুলার ফোন উৎপাদনকারী বা সংযোজনকারী প্রতিষ্ঠান বা ভেন্ডর হিসাবে নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি সরবরাহ করতে হবে।
সেলুলার ফোনের ব্যাটারি, চার্জার, পিসিবিএ তৈরির আগে সুনির্দিষ্ট বিক্রয় চুক্তির আওতায় আমদানীকৃত কাঁচামাল সরবরাহ করতে হবে।
চার্জার ও পিসিবি এর উৎপাদন ব্যতীত সেলুলার ফোন সংশ্লিষ্ট ব্যাটারি অন্য কোনো কাজে ব্যবহার বা বিক্রি বা অন্যত্র হস্তান্তর করা যাবে না।
পণ্যের মান যাচাইয়ে নিজস্ব টেস্টিং ল্যাব থাকতে হবে অথবা মান নিয়ন্ত্রণের জন্য কোনো স্বীকৃত টেস্টিং ল্যাব এর সাথে চুক্তিবদ্ধ হতে হবে।
বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমপিআইএ) সাধারণ সম্পাদক এবং বাংলাদেশে তৈরি সিম্ফোনির মূল কোম্পানি এডিসন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকারিয়া শহীদ ডিজিবাংলার সঙ্গে আলাপকালে এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে এই এই নির্দেশনা বা পরিপত্রটি প্রতিপালনে তিনি উৎপাদক ও আমদানীকারক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরেকটু সময় দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, “দেশী উৎপাদন ও ইনভেস্টমেন্টের জন্য এটি পজেটিভ সাইন। তবে ইন্টারন্যাশনাল ব্র্যান্ড আছে তাদের জন্য কিছু চ্যালেঞ্জ আসতে পারে। সেটা আমাদের কিছুটা সময় নিয়ে অ্যাড্রেস করতে হবে। যুক্তি সঙ্গত সময় দিতে হবে। আর আমদানী পর্যায়ে প্রোডাক্টের মিনিমাম ভ্যাল্যু, অনেক হায়ার সাইডে চলে গেছে। ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটে এই ভ্যালুটা প্রতিবছরই কমে। সেখানে একটু ফ্ল্যগজেবিলিটি দিলে, তাহলে আমাদের ছোট ছোট যে ইম্পোর্টার রয়েছে ওদের জন্য এটা ক্ষতির সম্মুখীন হবে।