করোনভাইরাস তীব্রতা দীর্ঘায়িত হওয়ায় উদ্বিগ্ন দেশের মোবাইল ফোন নির্মাতারা। মহামারিটি আরো দীর্ঘায়িত হলে দেশে মোবাইল ফোনের উৎপাদন ৪০ শতাংশের মতো কমে যাবার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।
দেশের বাজারে স্থানীয় মোবাইলে ব্র্যান্ড হিসেবে জনপ্রিয় সিম্ফনির মূল প্রতিষ্ঠান এডিসন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকারিয়া শহীদ জানিয়েছেন, দেশে তৈরি হ্যান্ডসেটের বেশিরভাগ কাচামালই চীন থেকে আমদানি করা হয়। কিন্তু চীন করোনভাইরাস প্রাদুর্ভাবের পরে তার অনেকগুলি কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে। এই অবস্থা যদি আরো দীর্ঘায়িত হয় তবে দেশে মোবাইল ফোন উৎপাদন সমায়িক ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। এতে উৎপাদন হার ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ কমে যেতে পারে।
বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমপিআইএ) এই সাধারণ সম্পাদক আরো জানান, সিম্ফনি ছাড়াও স্যামসাং, ওয়ালটন, অপো, ভিভো, রিয়েলমি, ফাইভস্টার, কিংস্টার এবং ট্রান্সান সহ নয়টি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের হ্যান্ডসেট বাংলাদেশে তৈরি হচ্ছে। এদের সবাই এক্সেসরিজের জন্য চীনের ওপর নির্ভরশীল।
দেশেই মোবাইল ফোন তৈরির গতি ধরে রাখা নিয়ে একই রকম উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশেই স্যামসাং ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোন তৈরির পেছনের কলাকুশলী হিসেবে পরিচিত ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স এর চিফ মার্কেটিং অফিসার মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ। তিনি জানান, আমরা বেশির ভাগ কাঁচামালই চীন থেকে আমদানি করি। তাই এই অবস্থা আরো দীর্ঘায়িত হলে বিপদে পড়তে হবে।
তবে এমন পরিস্থিতিতে ভিয়েতনাম অথবা বিকল্প উৎস থেকেও কাাঁচামাল সংগ্রহের কথা ভাবছেন বিএমপিআইএ-এর এই যুগ্ম সম্পাদক। তিনি জানান, বর্তমানে তারা বছরে এক লাখ ৩০ হাজারের মতো হ্যান্ডসেট উৎপাদন করেন। এই সঙ্কটাবস্থা অব্যাহত থাকলে এই সংখ্যাটা ৩০-৪০ হাজারে নেমে যেতে পারে।
একই রকম বললেন ট্র্যানসান বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী রেজওয়ানুল হক। তিনি বলেন, মোট চাহিদার ৬০ শতাংশ ফোনই এখন দেখে উৎপাদিত হয়। করোনার কারণে বন্ধ থাকায় আমাদের স্টকও প্রায় শেষের দিকে। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে আসছে। তবে ৩০ শতাংশের মতো উৎপাদন কমার শঙ্কা রয়েছে।