নকল বা ক্লোন হ্যান্ডসেট বাজারজাত বন্ধে আগামী জুলাই নাগাদ চালু হতে যাচ্ছে মোবাইল ফোন সনাক্তকরণ পদ্ধতি। এরপর থেকে নকল ও ক্লোন আইএমইআই সংবলিত মুঠোফোন অপারেটরদের নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হলে পরবর্তীতে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্ট্রারের (এনইআইআর) মাধ্যমে তা নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন করা হবে।
এদিকে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) কিনতে যাচ্ছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এ জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কিনতে মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দরপত্র প্রকাশ করেছে কমিশন।
কমিশনের প্রশাসন শাখার পরিচালক ইয়াকুব আলী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আগামী ৩০ মার্চের মধ্যে দরপত্রের আবেদন করা যাবে। আবেদনকারীকে কমপেক্ষ সাত বছরের সাব-কন্ট্রাক্টার অভিজ্ঞতা অথবা পাঁচ বছরের সরবরাহকারীর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
মাত্র ১০ হাজার টাকা বা সমপরিমান ডলার জামানত দিয়ে এই আবেদন করা যাবে। ৩১ মার্চ টেন্ডার খোলা হবে। এরপর যেই প্রতিষ্ঠান কাজ পাবে তাদেরকে ১২০ দিনের মধ্যে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) সিস্টেমটি চালু করতে হবে।
বিটিআরসি সূত্র জানিয়েছে, এ বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে এনইআইআর চালুর লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে সংস্থাটি। এ বিষয়ে বিটিআরসির জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) জাকির হোসেন খান বলেন, “মুঠোফোনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এ উদ্যোগ। এর মধ্যে আমরা অবৈধ মুঠোফোন ঠেকানোর ব্যবস্থাপনাকে একপর্যায়ে নিতে পারব আশা করি।’নতুন ব্যবস্থা চালু হলে বিদেশ থেকে আসার সময় কিনে আনা, প্রবাসী স্বজনদের পাঠানো সেট ইত্যাদি ক্ষেত্রে কী হবে প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘এসব ক্ষেত্রে ব্যবস্থা থাকবে।”
এর আগে গত বছরের জানুয়ারিতে মুঠোফোন বৈধভাবে আমদানি করা বা দেশে উৎপাদিত কি না, তা যাচাইয়ে তথ্যভান্ডার চালু করে বিটিআরসি। ওই সময় খুদে বার্তা পাঠিয়ে গ্রাহকদের বৈধ বা অবৈধ মোবাইল চিহ্নিত করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। বাংলাদেশ মোবাইল আমদানিকারক সমিতির (বিএমপিআইএ) সহায়তায় বিটিআরসি এই তথ্যভান্ডার তৈরি করে। তবে তা খুব একটা কাজে আসেনি।